Last Updated: August 15, 2012 21:13

বছর ঘুরে আবারও একটা স্বাধীনতা দিবস। এবার ৬৬ তম। গোটা দেশ ব্যস্ত স্বাধীনতা উদ্যাপনে। প্রতিবারের মতই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে সাফল্যের খতিয়ান! প্রতিশ্রুতি ভবিষ্যতের জন্য। গত ৬৫ বছর ধরে এটাই ১৫ অগাস্টের চেনা ছবি। তবে আরেকটি ছবিও রয়েছে। যে ছবির কথা সচারাচর সামনে আসে না। যে ছবি সামনে এলে রীতিমত শিউরে উঠতে হয়।
রাষ্ট্রসংঘের পরিসংখ্যান অনু্যায়ী, স্বাধীন ভারতে অনাহারে প্রতিদিন ৮ হাজার মানুষ মারা যান! স্বাধীনতার বয়স যখন ৬৬, তখনও ২০ কোটি ভারতীয় অর্ধাহারে দিন কাটান! ৪৩ শতাংশ ভারতীয় শিশু অপুষ্টি জনিত রোগের শিকার! রাষ্ট্র সংঘের ক্ষুধার সূচকে ভারতের স্থান ৬৬। যদিও ভারতের প্রতিবেশি রাষ্ট্র পাকিস্তানের স্থান ওই একই সূচকে ভারতের ওপরে। পাকিস্তান রয়েছে ৬১ নম্বরে!
অপুষ্টিতে ধুঁকছে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও। ২০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার মুখ দেখেননি। দেশের অশিক্ষার হার ৩৫ শতাংশ। স্কুলের চৌকাঠে পা রাখেনি এমন শিশুর সংখ্যা দু`কোটির বেশি। স্বাধীনতার সাড়ে ছ`দশকেও অধিকাংশ রাজ্যে নেই স্বাস্থ্যসম্মত শৌচ ব্যবস্থা। রাষ্ট্রসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮২ টি দেশের মধ্যে ভারত ১৩২ নম্বরে!
তবে প্রতি ৫ জনে এক জন ভারতীয় অর্ধাহারে থাকলেও ধনকুবেরের সংখ্যায় ভারত রীতিমত পাল্লা দিচ্ছে খোদ আমেরিকার সঙ্গে। ভারতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৫৫ জন। ২০০৪-এ এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৯। খাদ্য, পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত সরকারের বরাদ্দ শোচনীয় হলেও সামরিক খাতে সরকারি বিনিয়োগ বেড়ে চলেছে প্রতি বছর। সামরিক ক্ষেত্রে বিনিয়গের নিরিখে ভারতের স্থান গোটা বিশ্বে বর্তমানে চতুর্থ। আমেরিকা, চিন ও রাশিয়ার পরেই। ৬৬ বছরের এই `অন্য ছবি` নিশ্চত ভাবেই লজ্জা দেবে স্বাধীনতার বাৎসরিক উৎসবকে।
First Published: Wednesday, August 15, 2012, 21:13