Last Updated: December 29, 2012 14:16

দিল্লির নিগৃহীতা তরুণীর শরীরে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণই তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াল। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিত্সক যতীন মেহেতা। দিল্লি থেকে সিঙ্গাপুরে তরুণীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার সময় তরুণীর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার চিকিত্সক যতীন মেহেতা। শুক্রবার রাতে কলকাতায় ফিরে একান্ত সাক্ষাত্কারে ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন তরুণীর শারীরিক পরিস্থিতি।
দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতাল থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল। দীর্ঘ ছয় ঘন্টার যাত্রা। তিরিশ হাজার ফুট উচুঁতে উড়ান। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া ২৩ বছরের তরুণীর লড়াই। পুরো যাত্রাপথেই সঙ্গে ছিলেন যতীন মেহেতা। তরুণীর শারীরিক অবস্থাও পরীক্ষা করেছেন তিনি। শুক্রবার রাতে কলকাতায় ফিরে তিনি জানিয়েছেন শরীরে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমনই নিগৃহীতা তরুণীর শারীরিক সংকটের সবথেকে বড় কারণ।
সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সময়ও তরুণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কমে যায় রক্তচাপ। সেইসময় ঠিক কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল চিকিত্সকের? যতিন মেহেতা বলেন, "শুরু থেকেই তাঁর অভ্যন্তরীন ক্ষত ছিল। আগাগোড়াই অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক ছিল। বেশিরভাগ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গ্যাংরিনের কারণে বিকল হতে শুরু হয়ে যায়।" চিকিত্সক যতীন মেহেতা জানিয়েছেন বাইরের চোটের থেকে শরীরের ভেতরের জখমই বেশি ছিল তরুণীর দেহে। তবে কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
First Published: Saturday, December 29, 2012, 14:55