জঙ্গিপুর উপনির্বাচনেও তাড়া করছে ভাঙনের ভূত

জঙ্গিপুর উপনির্বাচনেও তাড়া করছে ভাঙনের ভূত

জঙ্গিপুর উপনির্বাচনেও তাড়া করছে ভাঙনের ভূতসেদিনও যে গ্রাম ছিল, আজ আর তার অস্তিত্বই নেই। ভাঙনের কবলে পড়ে জঙ্গিপুরের এমন বহু গ্রাম এখন ইতিহাস। ভাঙন প্রতিরোধে সংসদ তোলপাড় হয়। আছে মন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতি, অসংখ্য পরিকল্পনা। ভোট আসলে এই প্রতিশ্রুতির মাত্রা আরও বাড়ে। কিন্তু নদীর পাড়ের মানুষেরা যে তিমিরে ছিলেন আজও রয়ে গেছেন সেই তিমিরেই। ভোটের মুখে কী বলছেন তাঁরা? তা জানতে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম ভুক্তভোগী মানুষগুলির কাছে।  দুঃস্বপ্নের ভাঙন। চোখের নিমেষে নদীর গর্ভে তলিয়ে যায় সবকিছু।   
 
মালদা, মুর্শিদাবাদ জুড়ে এই ভাঙনের বিভীষিকা নতুন কিছু নয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। ভাঙন রোধে একাধিক পরিকল্পনা, বাজেটে অর্থবরাদ্দ, মন্ত্রীদের ছুটে আসা--এসবকিছুর স্বাক্ষী নদীর পাড়ে বাস করা মানুষজন। একেবারেই যে কাজ হয়নি এমনটাও নয়। কিন্তু স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের ক্ষেত্রে তা একেবারেই নগন্য।
দুহাজার চার সালে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী জেতার পর এই ভুক্তভোগী মানুষগুলো আশায় বুক বেঁধেছিলেন। ২০০৯ সালের ভোটেও দুহাত ভরে তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন জঙ্গিপুরের মানুষ। কিন্তু দুহাজার বারোয় উপনির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে ছবিটা কী?? 
 
মুর্শিদাবাদের ভোট মানেই ভাঙন অন্যতম ইস্যু। এবারের ভোটেও জোরালোভাবে উঠে আসছে ভাঙনের কথা।  
 
 
পাল্টা প্রচার আছে কংগ্রেসের তরফেও। সব শুনছেন ভোটাররা। অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে মিলিয়ে দেখছেন সবকিছু। ভোটের ফল তেরো তারিখের আগে জানা অসম্ভব। কিন্তু আগাম বলা যেতেই পারে যে জঙ্গিপুরের এবারের উপনির্বাচনে ভাঙন ইস্যুই হতে চলেছে তুরুপের তাস।
 

First Published: Monday, October 8, 2012, 12:38


comments powered by Disqus