Last Updated: August 14, 2012 09:37

নজিরবিহীনভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবছর কাউন্সেলিং-এর পরে ১১৪ টি আসন খালি পড়ে রয়েছে শুধু তাই নয়, শিবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই খালি আসনের সংখ্যা ৫৫। রাজ্য সরকার নির্দেশ দেয় এই খালি আসন ভরতে হবে। সেক্ষেত্রে যারা এখনও কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়নি তাদেরই সুযোগ দিতে বসে। কিন্তু মেধার সঙ্গে এভাবে আপস করা যাবে না বলে এরপরেই বেঁকে বসে শিবপুর ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রস্তাব দেয় চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং-এর। সোমবার এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। আর বৈঠক শেষেই সিদ্ধান্ত হয় সরকারি নিয়ম মানতে হবে না এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে। ফলে এবছর ফাঁকা আসন নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্লাস শুরু নির্দেশ দেন শিক্ষা মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বর্ষে ল্যাটারাল এন্ট্রির মাধ্যমে ফাঁকা আসনে ছাত্র ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কিন্তু দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশ মেনে কেন চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং করা হল না। যেখানে বেশ কিছু ভাল ছাত্রছাত্রী ওই শিবপুর বা যাদবপুরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেত। শিক্ষা মন্ত্রীর দাবি টেকনিক্যাল সমস্যার জন্যই এমনটা করা গেলনা।
তবে শিক্ষামন্ত্রীর এই যুক্তি মানতে নারাজ অনেকেই। অনেকেরই ধারনা নতুন করে কাউন্সেলিং হলে প্রাইভেট কলেজগুলোর সমস্যা হত।কারণ অনেকেই সেখান থেকে ছেড়ে এই সব ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হত । ফলে প্রাইভেট কলেজগুলোকে সুবিধা করে দিতেই সরকাররে এই বিশাল ফাঁকা আসন নিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিতে হল।
First Published: Tuesday, August 14, 2012, 09:37