Last Updated: June 13, 2014 15:26

ব্যক্তিগত কারণে পাড়ুই মামলা থেকে সরে গেলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। আদালতকক্ষে আবেগপ্রবণ বিচারপতির মন্তব্য, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই ঘটনা তাঁকে নাড়া দিয়ে যাবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগের রাতে বীরভূমের পাড়ুইয়ে খুন হন, নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষের বাবা সাগর ঘোষ। রাজ্য পুলিসের ডিজির নেতৃত্বে চার সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গড়েছিলেন বিচারপতি । তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়ে রাজ্য পুলিসের ডিজিকে আদালতে তলবও করেন তিনি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হলেও মামলাটি তার কাছেই ফিরে আসে। আজ ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে তা থেকে অব্যহতি নিলেন বিচারপতি। ২৮শে এপ্রিল মঙ্গলকোটের নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন অনুব্রত মন্ডল। ২৯শে এপ্রিল বিভিন্ন সংবাদপত্রে সেই ছবি প্রকাশিত হয়।
কিভাবে অভিযুক্তকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতে দেখা যাচ্ছে? প্রভাব কাটিয়ে পুলিস কি আদৌ গ্রেফতার করতে পারবে অনুব্রতকে? এই প্রশ্ন তুলে ৩০শে এপ্রিল বিচারবিভাগীয় নোট জারি করেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। ছবির সত্যতা নিয়ে সেদিন কোনও প্রশ্ন তোলেনি সরকারপক্ষ। অথচ শুক্রবার তারা জানায়, ছবিটি জাল বা সুপারইমপোজড। বিরক্ত বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ৩০শে এপ্রিল তারা সেকথা বলেনি কেন? GOVERNMENT PLEADER অশোক ব্যানার্জি বা সরকারি আইনজীবী প্রণব গুপ্ত জানান, সেদিন ছবির সত্যতা নিয়ে বিচারপতি তাদের কাছে কিছুই জানতে চাননি। এই যুক্তিতে অসন্তুষ্ট বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত তার নিজের দেওয়া সেদিনের নোট ২ সরকারি আইনজীবীকে পড়ে শোনান। তিনি বলেন, তার কাছেই ফের মামলাটি এসেছে । তিনি ফের ডিজিকে তলব করবেন। যা তার পুরনো নির্দেশের পুনরাবৃত্তি। তাই ব্যক্তিগত কারণে এই মামলা থেকে তিনি অব্যহতি চান। এরপরই নাটকীয়ভাবে উঠে দাঁড়ান তিনি। আদালত কক্ষ ত্যাগ করার আগে মন্তব্য করেন, তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পাড়ুই মামলা তাকে নাড়া দিয়ে যাবে।
অরুণ মিশ্রের বদলে আগামি মাসে নতুন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন মঞ্জিলা চেল্লুর। তিনি আসার পর ঠিক করবেন মামলাটি কোন বিচারপতির বেঞ্চে যাবে।আশাহত সাগর ঘোষের পরিবার।
First Published: Friday, June 13, 2014, 15:26