Last Updated: November 29, 2012 12:43

রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে রাজ্য সরকারের সমস্যা চরমে। তার ওপর আবার নতুন বিতর্ক খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সাম্প্রতিক মন্তব্যে। কৃষক পরিচিতি থাকলে তবেই সহায়কমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা। যে সমস্ত কৃষকের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, জমির দলিল বা পরচা নেই, তাঁদের কৃষক পরিচিতির ছাড়পত্র দেবেন বিডিও অথবা জেলার কৃষি আধিকারিক। সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই ফতোয়া ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশাসনিক আধিকারিকদের কৃষক পরিচিতি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কৃষকসভা।
কৃষক পরিচিতি না থাকলে আদৌ সহায়কমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয়ে কৃষকরা। বিতর্কের শুরু সোমবার বর্ধমানে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্যে। এবারও সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কথা বলে মন্ত্রী বলেন ধান বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষকদের পরিচিতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত কৃষকের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, জমির দলিল বা পরচা নেই তাঁদের কৃষক পরিচিতি দেবেন এলাকার বিডিও অথবা কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। আর এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জেলার কৃষক সভার সম্পাদক আব্দার রেজ্জাক মোল্লা।
মন্ত্রীর এই বক্তব্যে ধন্দে রয়েছেন কৃষকরাও। কৃষক পরিচিতি না থাকার কারণে আদৌ সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তাঁরা। গতবছর সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করে এখনও টাকা পাননি বর্ধমানের বহু কৃষকই। এবছরও সরকার সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কথা ঘোষণা করলেও সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে কৃষক পরিচিতির শর্ত। সেই শর্তপূরণের ফাঁসে আদৌ ধান বিক্রি করতে পারবেন কিনা সেই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যের শস্যগোলার কৃষকদের মনে।
First Published: Thursday, November 29, 2012, 12:43