Last Updated: April 4, 2014 00:00

প্রেসিডেন্সির মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে থাকা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুগত বসু। এই নিয়ে সুগত বসুকে ফেসবুকে কটাক্ষ করলেন কবীর সুমন। ফেসবুক বার্তায় কবীর সুমনের বক্তব্য, প্রেসিডেন্সির মেন্টর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্রই সুগত বসুকে চান না ।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্ররা আপত্তিও জানিয়েছেন। কবীর সুমনের বক্তব্য, একটি দৈনিকে এ প্রসঙ্গে সুগত বসু বলেছেন, অমর্ত্য সেন তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন আরও ভাবনা চিন্তা করে তারপর পদটি ছাড়তে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন যাদবপুর কেন্দ্র থেকেই তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন কবীর সুমন। সেই কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়ছেন সুগত বসু। ফেসবুক বার্তায় তারও উল্লেখ রয়েছে। সুগত বসুর ভোটে প্রার্থী হওয়া এবং প্রেসিডেন্সির মেন্টর বিতর্ক প্রসঙ্গকে জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কবিতার কিছু লাইন সামান্য বদল করে কটাক্ষ করেছেন গানওয়ালা।
তিনি লিখেছেন,
"সুপণ্ডিত শ্রী সুগত বসুকে প্রেসিডেন্সির বেশিরভাগ ছাত্র মেন্টর হিসেবে চান না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাঁরা তাঁদের আপত্তি জানিয়েছেন। আনন্দবাজারে পড়ছি সুগতবাবু বলছেন শ্রী অমর্ত্য সেন তাঁকে বলেছেন আরও ভাবনাচিন্তা করতে, তারপর পদটি ছাড়তে। যে এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে এম পি পদের জন্য আমি ২০০৯ সালে লড়েছিলাম সেই এলাকায় এবারে "আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিধন্য শিক্ষাবিদ ও পণ্ডিত" সুগত বসু তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, মেন্টর বৃত্তান্ত, শ্রী সুগত বসু, শ্রী অমর্ত্য সেন সব মিলিয়ে মনে হলো জীবনানন্দ দাশের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে তাঁর বনলতা সেন কবিতাটির শেষ কটি লাইন এই মুহূর্তে এইরকম ভাবা যেতে পারে:
"সব ভোট ঘোরে ফেরে
সব প্রার্থী ফুরোয় এ-জীবনের সব লেনদেন
থাকে শুধু অন্ধকার
মুখোমুখি বসিবার অমর্ত্য সেন।"
First Published: Friday, April 4, 2014, 00:00