Last Updated: October 4, 2011 21:51

মঙ্গলবার দু`দিনের ভারত-সফরে এসেছেন আফগান-প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।সন্ধ্যায় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে।প্রত্যাশিত ভাবেই এ দিনের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে সন্ত্রাস-প্রসঙ্গ। আফগানিস্তানে পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। বিশেষত কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে জঙ্গি হামলার পর থেকে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
দুঃসাহসী ওই হামলারজন্য পাকিস্তানের হক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হক্কানি গোষ্ঠী এবং আইএসআইয়ের যোগসাজশ নিয়ে ওয়াশিংটনের অভিযোগের জেরে বেশ চাপে ইসলামাবাদ।তার উপরে আত্মঘাতী হামলায়প্রাক্তন আফগান-প্রেসিডেন্ট বুরহানুদ্দিন রব্বানির মৃত্যুর ঘটনায় যে জঙ্গিদের নাম জড়িয়েছে, তারাও পাকিস্তানেরই নাগরিক বলে বিবৃতি দিয়েছে কাবুল। তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকা রব্বানির মৃত্যুর পর ওই জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে
আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন কারজাই। আপাতত কথাবার্তা বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার হামিদ কারজাইযের দু`দিনের ভারত-সফরে আসার ঘটনা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে
মনে করছেন ভারত-আফগান বিশেষজ্ঞরা।
প্রত্যাশিত ভাবে প্রধানমনন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তাঁর আলোচনাতেও প্রাধান্য পেল সন্ত্রাস-প্রসঙ্গই। জঙ্গি নাশকতা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে কারজাইকে মনমোহন সিংয়ের আশ্বাস, এই বছর আফগান ভূখণ্ড থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেও কাবুলকে সাহায্য করে যাবে দিল্লি। মনমোহনকে ধন্যবাদ জানিয়ে কারজাই বলেন, ভারত-সহ সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান পুনর্গঠনের কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। কারজাই এবং মনমোহনের বক্তব্যে এ দিন কোথাও পাকিস্তানের প্রসঙ্গ ওঠেনি বটে। কিন্তু তাঁদের কথা থেকেই স্পষ্ট, প্রকারান্তরে দু`জনই কাঠগড়ায়
তুলতে চেয়েছেন ইসলামাবাদকে। এ দিন দু`দেশের মধ্যে খনি ও সামরিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে তাঁরা সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন ।
First Published: Wednesday, October 5, 2011, 14:26