Last Updated: February 20, 2012 14:18

পাহাড়প্রমাণ ঋণের বোঝা। বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মীদের ধর্মঘট। সব মিলিয়ে নাজেহাল কিংফিশারের উড়ান বাতিল অব্যাহত। সোমবারও মুম্বইয়ে ১২টি ও দিল্লিতে ৪টি-সহ মোট ১৬টি উড়ান বাতিল করেছে সংস্থা। যাত্রীদের আগে না জানিয়ে এতগুলি উড়ান বাতিল করার জন্য কিংফিশার এয়ারলাইন্স-এর সিইও সঞ্জয় আগরওয়ালকে তলব করল অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)।
অপরদিকে, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী অজিত সিং জানিয়ে দিয়েছেন, কিংফিশারকে কোনও রকম আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে না। কারণ এটি একটি বেসরকারি সংস্থা। তিনি বলেন, ``সবাই জানে কিংফিশারের আর্থিক সমস্যা চলছে। সরকার কোনও বেসরকারি সংস্থার জন্যই কোনও ব্যাঙ্ককে আর্থিক সাহায্য করতে বলবে না। কিংফিশার তাদের একটি ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা ব্যাঙ্কগুলির সামনে উপস্থাপন করেছে। দেখা যাক কী হয়...।``
এর আগে শনিবার কলকাতায় পরিষেবাই বাতিল করেছে কিংফিশার। সংস্থার এতগুলি বিমান বাতিলের সিদ্ধান্তে চরম অসুবিধায় পড়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, আগে থেকে না জানিয়েই উড়ান বাতিল করছে কিংফিশার। ফলে বিমানবন্দরে এসে তাঁরা বিপদে পড়ছেন। অন্য সংস্থাগুলিতেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজিসিএ এবং যাত্রীদের কিছু না জানিয়ে এই নিয়ে গত ৪ মাসে ২ বার বিপুল সংখ্যক উড়ান বাতিল করল কিংফিশার। সূত্রে খবর, এতগুলি উড়ান দেরিতে চলা ও বাতিল নিয়ে কিংফিশার এয়ারলাইন্স-এর থেকে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে ডিজিসিএ। এই তথ্যের ভিত্তিতেই কোনও প্রাথমিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তা ঠিক করা হবে। ডিজিসিএ প্রধান ই কে ভরত ভূষণ জানিয়েছেন, তাঁরা সংস্থার থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। তবে এতগুলি উড়ান বাতিল করার আগে ডিজিস এ-কে জানানো উচিত ছিল। এই ভাবে না জানিয়ে উড়ান বাতিল করা বেআইনি। সংশ্লিষ্ট সব দফতর থেকে তথ্য সংগ্রহের পরেই কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ভূষণ। দুর্ভোগে পড়া যাত্রীদের সঙ্গে সহযোগিতা করার অন্য বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলিকে অনুরোধও জানিয়েছে ডিজিসিএ।
First Published: Monday, February 20, 2012, 14:18