Last Updated: November 24, 2012 09:47

গতবছর এই দিনেই বুড়িশোলের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেণজির। মাঝে কেটে গেছে একটা বছর। মাওবাদী শীর্ষনেতার মৃত্যু ঘিরে এখনও বহু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। গুলির লড়াইয়ে মাওবাদী শীর্ষ নেতার সঙ্গী কারা ছিলেন? গুলির চিহ্ন ছাড়াও শরীরে ছিল আরও কিছু আঘাতের চিহ্ন। কীভাবে এল সেই চিহ্ন? এরকম বহু প্রশ্নের সঠিক কোনও উত্তর আজও পাওয়া যায়নি।
অনেকেই বলেন তাঁর সঙ্গে থাকতেন মাওবাদী নেত্রী সুচিত্রা মাহাতো। গুলির লড়াইয়ে তিনিও নাকি জখম হয়েছিলেন। পরে মহাকরণে যখন সুচিত্রা মাহাতো আত্মসমর্পণ করেন তখন তাঁর চেহারায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। জঙ্গলেমহলে দীর্ঘদিন থাকারও কোন ছাপ ছিলনা আত্মসমপর্ণকারী এই মাওবাদী নেত্রীর।
গুলির লড়াইয়ে যৌথবাহিনীর বিরুদ্ধে তিরিশ রাউন্ড চালিয়েছিল মাওবাদীরা। উল্টোদিকে যৌথবাহিনীর তরফে চলেছিল সত্তর রাউন্ড গুলি। বুড়িশোলের জঙ্গলে যেখান থেকে কিষেণজীর দেহ উদ্ধার হয় তার কাছেই ছিল একটি উই ঢিপি। দুপক্ষের এত গুলি বিনিময়ের পরেও উই ঢিপি কীভাবে সম্পূর্ণ অক্ষত থাকল এ প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি।
চতুর্থত কিষেণজীর শরীরে এমন কিছু আঘাতের চিহ্ণ মিলেছে যা গুলির লড়াইয়ে সম্ভব নয় বলেই অভিযোগ। এছাড়াও কিষেণজির মত শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা কী ভাবে কোন নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়াই বুড়িশোলের জঙ্গলের সামনের দিকে চলে এলেন মেলেনি সেই প্রশ্নের উত্তরও।
First Published: Saturday, November 24, 2012, 17:53