মশা বাহিত রোগের উৎস খুঁজতে ওয়ার্ড ভিত্তিক তথ্য ভাণ্ডারের ব্যবস্থা করছে পুরসভা

মশা বাহিত রোগের উৎস খুঁজতে ওয়ার্ড ভিত্তিক তথ্য ভাণ্ডারের ব্যবস্থা করছে পুরসভা

মশা বাহিত রোগের উৎস খুঁজতে ওয়ার্ড ভিত্তিক তথ্য ভাণ্ডারের ব্যবস্থা করছে পুরসভাডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মত মশাবাহিত রোগের উত্স খুঁজতে এবার আর বিক্ষিপ্ত অভিযান নয়। পুরকর্মীদের সামনেই থাকবে ওয়ার্ডভিত্তিক তথ্যভাণ্ডার। প্রতিটি ওয়ার্ডে কোন বাড়িতে কটি মুখখোলা ওভারহেড ট্যাঙ্ক, চৌবাচ্চা, ফুলের টব রয়েছে এবং এলাকায় নির্মীয়মান বাড়ি, পুকুর বা নর্দমা রয়েছে তার স্পষ্ট উল্লেখ থাকছে ডেটাবেসে। শুধুমাত্র বর্ষার তিন মাস নয়, বছরের বাকী সময়েও ডেটাবেস দেখে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে নজরদারি চালাতে পারবেন পুরকর্মীরা। এতদিন পর্যন্ত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেলে এলাকায় গিয়ে মশার আতুঁরঘর খোঁজার চেষ্টা করতেন পুরকর্মীরা। অনেক ক্ষেত্রেই বিভ্রান্তভাবে উতসস্থল খুঁজতে গিয়ে অনেক সময় পেরিয়ে গিয়ে বেড়ে যেত মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। পরিস্থিতি রুখতে এবার ডেটা বেস তৈরি করেছে পুরসভা। নয় হাজার আটচল্লিশ পাতার এই ডেটাবেসে ওয়ার্ডভিত্তিক পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কোথায় জল জমে মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিসংখ্যান থাকছে ওই ডেটাবেসে। তাই এবার আর খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজা নয়। ডেটাবেস ধরে ধরে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের বাড়িগুলিতে চৌবাচ্চা, ওভারহেড ট্যাঙ্ক বা টবগুলিতে জমা জল নিয়মিত পরিষ্কার হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে নজরদারি চালাবেন পুরকর্মীরা। দুহাজার তেরোর সেপ্টেম্বর থেকে ছমাস ধরে প্রতি ওয়ার্ডে আট থেকে দশ জন পুরকর্মী ঘুরে ঘুরে এই ডেটাবেস তৈরির কাজ করেছেন। পুরসভার দাবি, কোন জায়গায় মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে তা সনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

পরিসংখ্যান বলছে কলকাতা পুরসভার দুই নম্বর বরোর নটি ওয়ার্ড, ছ নম্বর বরোর দশটি ওয়ার্ড, চার নম্বর বরোর দশটি ওয়ার্ড, পাঁচ নম্বর বরোর এগারোটি ওয়ার্ড, সাত নম্বর বরোর নটি ওয়ার্ড, আট নম্বর বরোর এগারোটি ওয়ার্ড, এবং নয় নম্বর বরোর দশটি ওয়ার্ড মশাবাহিত রোগের আঁতুরঘর।

দুহাজার ছয় সালে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশান ও রাজ্য সরকারের জয়েন্ট মনিটরিং মিশনে দেখা যায়

দুহাজার ছয় সালে যেখানে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল রাজ্যে এক লক্ষ ঊনষাট হাজার ছশো ছেচল্লিশ জন। মারা যায় দুশো তিনজন। সেটাই দুহাজার তেরো সালে একলাফে কমে দাঁড়ায় চৌত্রিশ হাজার ছশো বিরাশিতে। মারা যায় ষোল জন।

দেশের মধ্যে কলকাতা পুরসভাই প্রথম ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া রুখতে এই ধরনের উদ্যোগ নিল বলে দাবি করেছেন মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ।

First Published: Friday, June 20, 2014, 18:09


comments powered by Disqus