Last Updated: March 20, 2013 11:38

অপরিছন্ন শৌচাগার, বোর্ডিং পাস জোগাড় করতে লম্বা লাইন, চেক ইন করতে পার হয়ে যাচ্ছে এক ঘন্টা। চালু হওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের বেহাল দশায় বিরক্ত যাত্রীরা। সমস্যা সমাধানে আপাতত ধৈর্যের ওপর ভরসা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিমানবন্দরের অধিকর্তা। প্রশ্ন উঠছে, তড়িঘড়ি নতুন টার্মিনাল চালু করার ফলেই কী এই সমস্যা ?
চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে পুরোদস্তুর চালু হয়ে গেছে দমদম বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল। সব কটি বিমানসংস্থাই পুরনো টার্মিনাল থেকে উড়ান নতুন টার্মিনালে সরিয়ে এনেছে। কিন্তু, চালু হওয়ার চারদিনের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে নতুন টার্মিনালের রক্ষণাবেক্ষণ। পরিষ্কার পরিছন্নতা থেকে সমন্বয়, ত্রুটি রয়েছে সবক্ষেত্রেই। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে একই টার্মিনাল থেকে আন্তর্জাতিক ও অন্তঃদেশীয় উড়ান ওঠানামার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু, কতটা স্বাচ্ছন্দ্য মিলছে? যাত্রীরা কার্যত অসন্তুষ্ট বিমানবন্দরের পরিষেবায়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নয়া টার্মিনালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে । লিফট থেকে এক্স রে মেশিন ব্যস্ত সময়ে সর্বত্রই লম্বা লাইন যাত্রীদের। ভিড় চেকিং কাউন্টার থেকে বোর্ডি পাস সংগ্রহের লাইনেও। যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে শৌচাগারের বেহাল দশা। সিআইএসএফ জওয়ানদের সংখ্যা কম, ডিসপ্লে বোর্ড আকারে ছোট, খাবারের দোকানের সংখ্যা কম, বেসমেন্ট-এ মোবাইল বিভ্রাট।
এতদিন টার্মিনালের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সামলাতেন বিমানবন্দর কর্মীরা। কিন্তু, সম্প্রতি তা চুক্তির ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে যাবতীয় দায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দিকেই ঠেলেছেন কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।
চালু হওয়ার মাত্র পাঁচদিনের মধ্যে কেন নতুন টার্মিনালের এই বেহাল দশা? উত্তর নেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। অর্ধিকর্তার দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
First Published: Wednesday, March 20, 2013, 11:38