Last Updated: April 15, 2014 21:40
একবালপুর হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সিকন্দরকে যাতে পুলিস গ্রেফতার না করে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিলেন বন্দর এলাকার যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত্ লালা। দেহ উদ্ধারের দিন এইখবর সম্প্রচারিত হয় চব্বিশ ঘণ্টায়। এরপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন ওই যুব তৃণমূল নেতা। এবার বিশ্বজিত্ লালার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল নিহত পুষ্পা সিংয়ের পরিবার।
একবালপুর কাণ্ডে সিকন্দরকে আড়াল করতে পুলিসের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত্ লালা। একবালপুরে তিন তিনটি খুনের অন্যতম অভিযুক্ত মহঃ সিকন্দরের ঘনিষ্ঠ এই বিশ্বজিত। শনিবার রাতে আটক সিকন্দরকে ছাড়াতে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা একবালপুর থানায় বসে ছিলেন বিশ্বজিত। এনিয়ে পুলিসের ওপর চাপসৃষ্টিও করেন তিনি। পরে সিকন্দর জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেওয়ায় থানা ছেড়ে চলে যান বিশ্বজিত। তেসরা এপ্রিল থেকে যতবার সিকন্দরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছে, ততবারই সিকান্দরের সঙ্গী ছিলেন বিশ্বজিত লালা। অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আগাগোড়া তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন এই যুব তৃণমূল নেতা। মঙ্গলবার ডি সি বন্দরের কাছে বিশ্বজিত্ লালার বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন নিহত পুষ্পা সিংয়ের বাবা।
তবে এই প্রথম নয়। বন্দর এলাকার এই যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আগেও এধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একবছর আগে বন্দর এলাকার একটি বেআইনি নির্মাণ প্রকল্প আটকে দেন একবালপুর থানার তত্কালীন ও সি আহাদ মুন্সি। সেজন্য থানার মধ্যেই ওসিকে চড় মারেন সাতাত্তর নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ইলিয়াস ইসলাহী। সেই সময় ইলিয়াসের সঙ্গী ছিলেন বিশ্বজিত্। এঘটনায় ও সি নিজে ডায়েরি করা সত্ত্বেও বিষযটি চাপা পড়ে যায়।
দেড় মাস আগে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিস। অভিযুক্তকে ছাড়ানোর জন্য ওসির ঘরে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে। প্রতিবারই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেঁচে যান বিশ্বজিত্। একবালপুর কাণ্ডে বিশ্বজিত লালার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খতিয়েদেখবে পুলিস। জানিয়েছেন ডি সি বন্দর সলোমন নিশাকুমার।
First Published: Tuesday, April 15, 2014, 21:40