Last Updated: July 10, 2012 23:04

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ফের একবার ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি দমদম বিমানবন্দর এলাকার একটি স্কুলে প্রশাসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এবিষয়ে একটি মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায় বলা হয়, প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ শিক্ষামন্ত্রীর এক্তিয়ার বহির্ভূত। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া না মেনে প্রশাসক নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি বলেই উল্লেখ করা হয়েছে আদালতের রায়ে।
ক্যালকাটা এয়ারপোর্ট ইংলিশ হাইস্কুল। আগেই বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায়, এই স্কুলের পরিচালন কমিটি ভেঙে সেখানে নিয়োগ করা হয় প্রশাসক। এরপর গতবছর স্কুল শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব নেন ব্রাত্য বসু। ১৯ অক্টোবর স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিকে সরিয়ে ব্যারাকপুরের এসডিওকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন ক্রমেই এই নির্দেশ জারি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশের সঙ্গে মিল রেখে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারি করার কথা বলা হয়। এরপরেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে হওয়ায়, স্কুলে কাকে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে, সেবিষয়ে সিদ্ধান্তের এক্তিয়ার একমাত্র পর্ষদের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের। সেক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে নতুন নির্দেশ জারি করতে পারে না সরকার। বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এরপরেই গোটা বিষয়টি জানানো হয় শিক্ষাদফতরকে। তা সত্ত্বেও শিক্ষামন্ত্রী বা তাঁর অধীন শিক্ষা দফতরের তরফে বদলানো হয়নি নিয়োগের সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি অবৈধভাবে প্রশাসক নিয়োগের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন স্কুলেরই এক ছাত্রের অভিভাবক, নির্মল চক্রবর্তী। এরপরেই সবদিক খতিয়ে দেখে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, যে প্রক্রিয়ায় স্কুলে প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। সেক্ষেত্রে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসককে সরিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের মনোনীত পুরনো প্রশাসককে পুনর্বহালেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সব মিলিয়ে এখন প্রশ্ন, কীভাবে এক্তিয়ার বহির্ভূত এমন একটি নির্দেশে সম্মতি দিলেন শিক্ষামন্ত্রী?
First Published: Tuesday, July 10, 2012, 23:07