Last Updated: December 14, 2013 22:22
শর্টস্ট্রিটকাণ্ডে পুলিসের জালে পুলিসই। ঘুষ নেওয়া ও ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সাব ইনস্পেক্টর নূর আলি। তদন্তে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে মমতা আগরওয়ালের তরফে পুলিসে অভিযোগ দায়ের হলেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। কিন্তু একা নূরে আলির পক্ষেও কী সম্ভব ছিল সেটা? প্রশ্ন উঠছে অন্য পুলিস অফিসারদের ভূমিকা নিয়েও।
সেপ্টেম্বর মাসে শর্ট স্ট্রিটে মমতা আগরওয়ালের স্কুলে যখন হামলা চলে তখনই অভিযোগ দায়ের হয় শেক্সপিয়ার থানায়। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। এগারোই নভেম্বর পুলিস কমিশনারের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গুলি চলে শর্ট স্ট্রিটের স্কুলে।
নড়ে চড়ে বসে পুলিস। একের এক গ্রেফতারে রহস্যের জট খুলতে শুরু করে। অভিযোগ পেয়েও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্লোজ করা হয় শেক্সপিয়ার সরণী থানার সাব ইনস্পেক্টর নুর আলিকে। সরানো হয় শেক্সপিয়র সরণি থানার ওসি পীযূষ কুণ্ডু এবং এসি তাপস বসুকে। শুক্রবার লালবাজারে দীর্ঘ জেরার পর গ্রেফতার হলেন সাব ইনস্পেক্টর নূর আলি। আরও একবার সামনে চলে এল শর্টস্ট্রিট কাণ্ডে পুলিসের যোগাযোগ।
ধৃত নূর আলির বিরুদ্ধে শর্টস্ট্রিট কাণ্ডে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে পুলিস। মোবাইলের কল ডিটেলস ও কথোপকথন পাওয়ার পরই পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এগারোই নভেম্বর শর্ট স্ট্রিটকাণ্ডের দিনও পিনাকেশ, পরাগ মজমুদারের সঙ্গে ফোনে কথা হয় নূর আলির। মমতা আগরওয়ালের অভিযোগকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ নূর আলির বিরুদ্ধে। তদন্তে উঠে এসেছে, শর্টস্ট্রিটের ওই জমি খালি করার কাজে পুলিসকে দেওয়া হয় মোট পঞ্চাশ লক্ষ টাকা।
কিন্তু একা কীভাবে এক সাব ইন্সপেক্টর এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়লেন? অভিযোগ পাওয়ার পরও ওসি বা অন্য সিনিয়র অফিসারদের মদত ছাড়া হামলাকারীদের পক্ষ নেওয়া সম্ভব নয় একজন সাব ইন্সপেক্টরের পক্ষে। তাই ঘটনায় উঠে আসছে শেক্সপিয়ার থানার ওসি এবং এসির ভূমিকাও। উঠে আসছে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার নামও। তাই নূর আলিকে গ্রেফতারের পর শর্টস্ট্রিট কাণ্ডে তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
First Published: Saturday, December 14, 2013, 22:30