Last Updated: January 25, 2014 10:32
নিন্দা রাজ্যপালের-
বীরভূমের লাভপুরে গণধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন রাজ্যপাল এমকে নারায়ণন। দোষীদের কড়া শাস্তির পাশাপাশি এই ধরনের সালিশি সভা বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।
নিন্দা জাভেদ আখতারের-
লাভপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করলেন গীতিকার জাভেদ আখতার। তিনি বলেন এই ধরনের ঘটনা সমাজের পক্ষে লজ্জাজনক।
'বাড়াবাড়ি করছে ২৪ ঘণ্টা'-
লাভপুরে নির্যাতিতার পরিবার গ্রামে ফিরতে পারছে না, একথা মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম । তাঁর মতে এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে ২৪ ঘণ্টা। গত কাল রাতে প্রায় ৪০ জন তৃণমূল নেতা কর্মীকে নিয়ে লাভপুরের গ্রামে যান তিনি।
লাভপুরে ফরেনসিক দল-
লাভপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে আজ ঘটনাস্থলে ফরেনসিক দল। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তারা। পরীক্ষার জন্য সেই নমুনা পাঠানো হবে বেলগাছিয়ার স্টেট ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবে। নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও মানসিক অবসাদ রয়েছে। তাই তাঁর চিকিত্সায় আনা হয়েছে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের। এদিকে ঘটনায় নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। ঘটনার পর থেকেই উধাও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অজয় মণ্ডল। গ্রামবাসীদের দাবি এই অজয় মণ্ডলই সালিশি সভার মিমাংসা পত্র লেখেন।
হাসপাতালে শশী-
লাভপুরের নির্যাতিতা আদিবাসী তরুণীকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মীনা। গতকাল রাত নটা নাগাদ তিনি হাসপাতালে যান। হাসপাতালের চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আদিবাসী তরুণীর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে অনেকটাই ভাল বলে জানিয়েছেন শশী পাঁজা। তরুণীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য সরকার সবরকম সাহায্য করবে বলেও আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।
লাভপুরের আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় নাম জডিয়েছে শাসকদল তৃণমূলের।নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এই ঘটনায় রাজনীতির রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিরোধীরা।
লাভপুরের ধর্ষণের নির্দেশ এসেছিল তৃণমূলের ঘর থেকে-
লাভপুরকাণ্ডে শুধু মোড়ল বা কোনও একজনের সিদ্ধান্তে ঘটেনি গণধর্ষণের ঘটনা। জরিমানা থেকে গণধর্ষণ প্রতিটি ঘটনাতেই শাসকদল তৃণমূলের নেতাদের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এই ঘটনায় শাসকদলের নেতাদের উপস্থিতি ও ভূমিকার কথা জানিয়েছেন নির্যাতিতার ভাই ও ধৃতেরবাবা। ঘটনার দায় তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বীরভূমের আদিবাসী সমাজ। আদিবাসী গাঁওতার ইঙ্গিত, ঘটনার পিছনে রয়েছে রাজনীতি।
অবশেষে পুলিস হেফাজত-
লাভপুরকাণ্ডে চাপের মুখে শেষপর্যন্ত ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিল পুলিস। অথচ বৃহস্পতিবার ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে নেওয়ার কোনও আবেদন জানানো হয়নি। পুলিসের এই ভূমিকায় নিন্দার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। শুক্রবার আদালতে নতুন করে পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। অভিযুক্ত তেরো জনকে ছয়ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
First Published: Sunday, January 26, 2014, 00:04