চেতলা কাণ্ডে বয়ান বদল অভিযোগকারিনীর

চেতলা কাণ্ডে বয়ান বদল অভিযোগকারিনীর

চেতলা কাণ্ডে বয়ান বদল অভিযোগকারিনীরচেতলা কাণ্ডে নয়া মোড়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই বয়ান বদলে ফেললেন অভিযোগকারিনী। নিজের বয়ানের থেকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মঙ্গলবার মহিলা স্বীকার করে নিলেন মিথ্যে কথা বলেছিলেন তিনি। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তাঁর ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল মিথ্যা কথা বলার জন্য। সেই কারণেই তিনি পুলিসের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন বলে এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন মহিলা। তাঁর অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে ছেনো নামক যেই যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিস, সে নির্দোষ বলেও জানিয়েছেন অভিযাগকারিনী। শুরু থেকেই মহিলার বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় ধর্ষণের ঘটনা সাজানো বলে সন্দেহ ছিল পুলিসের। মঙ্গলবার মহিলার স্বীকারোক্তিতে পুলিসের অনুমানই কার্যত সত্যি হল এক্ষেত্রে।

চেতলা কাণ্ডের জেরে আগেই সামনে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ঘটনা। যুযুধান যে দুপক্ষের বিবাদ এই ঘটনায় সামনে এসেছে, তাতে অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের এক মন্ত্রীর ভাই এবং তৃণমূলের এক বিধায়ক তথা শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এক নেতার নামও। অভিযোগকারিনী তৃণমূলের এক স্থানীয় নেত্রীর সাহায্য নিয়েই চারুমার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আবার পুলিস এই ঘটনার তদন্তে নেমে যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল সেই অজয় ভট্টাচার্য ওরফে ছেনো ওই এলাকার একজন পরিচিত তৃণমূল কর্মী। তাঁর দাদা এই এলাকার তৃণমূল নেতা। অজয় ভট্টাচার্য তৃণমূলের ওই শ্রমিক সংগঠনের নেতার গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত। অজয় ভট্টাচার্যের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়, দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন তিনি।

অভিযোগকারিনীর বক্তব্য অনুযায়ী শনিবার রাতে তিনি যখন আয়ার কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় চেতলা ব্রিজের কাছে তাঁর পাশে একটি গাড়ি এসে থামে। গাড়ি থেকে এক অপরিচিত যুবক নেমে তাঁর রাস্তা আটকায় এবং তাঁকে গাড়িতে উঠতে বলে। গাড়িতে আরও ২-৩ জন যুবক ছিল। মহিলা গাড়িতে উঠতে অস্বীকার করে চিত্‍কার করে লোক জড়ো করবার ভয় দেখালে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই তাঁকে জোর করে গাড়িতে তোলার পরই তাঁর চোখ বেঁধে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিনী। চোখ বাঁধা অবস্থাতেই তাঁকে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তাঁর চোখ খুলে দেওয়া হয়। এরপর দুজনে মিলে সেই ঘরের মধ্যেই তাঁকে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিনী। এমনকী ধর্ষণের সময় ঘরে অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিল বলে জানান তিনি। ধর্ষণের পর ফের তাঁর চোখ বেঁধে গাড়িতে তোলা হয় এবং চেতলার একটি বহুতলের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।অভিযোগকারিনীর এই বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিস। মঙ্গলবারের বয়ানের সম্পূর্ণ বদলে গেল ঘটনার ভোল।






First Published: Tuesday, August 14, 2012, 20:45


comments powered by Disqus