Last Updated: March 17, 2012 14:32

দাসেরবাঁধ কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় সুশান্ত ঘোষের পর এবার নন্দীগ্রাম 'নিখোঁজ'কাণ্ডে লক্ষ্মণ শেঠ। ফের ফৌজদারী মামলার জেরে গ্রেফতার হলেন রাজ্যের এক প্রথম সারির সিপিআইএম নেতা। এদিন দুপুরে মুম্বইয়ের চেম্বুর এলাকার একটি গেস্টহাউস থেকে তমলুকের প্রাক্তন সাংসদকে গ্রেফতার করে সিআইডি। লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়, নন্দীগ্রাম কাণ্ডে অভিযুক্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই প্রথম সারির সিপিআইএম নেতা- পাঁশকুড়া (পূর্ব)-র প্রাক্তন বিধায়ক অমিয় সাহু এবং সিপিআইএম-এর নন্দীগ্রাম জোনাল কমিটির সম্পাদক তথা কৃষকসভার জেলাসভাপতি অশোক গুড়িয়াকে। দিনকয়েক আগে তাঁরা হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই এসেছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার জন্য কুরলা আদালতে তুলেছিল সিআইডি-র তদন্তকারী দল। আদালত ২২ মার্চ পর্যন্ত তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দেয়।
দলের প্রাক্তন সাংসদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সিপিআইএম রাজ্যসম্পাদক বিমান বসু বলেন, " নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মিথ্যে মামলায় সিপিআইএম নেতাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। লক্ষ্মণ শেঠকে ঠিক কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে তাঁর পাশে দাঁড়াবে দল।"
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হলদিয়ার এসিজেএম আদালতে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কাণ্ডের চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। চার্জশিটে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে নন্দীগ্রামে সিপিআইএম এবং ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সংঘর্ষের ঘটনায় 'নিখোঁজ' ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সমর্থকদের খুন করে দেহ লোপাট করার অভিযোগ আনা হয় ধৃত ৩ নেতার বিরুদ্ধে। খুন, প্রমাণ লোপ, ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আইন-সহ একগুচ্ছ ধারায় মোট ৮৮ জন সিপিএম নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ২১৫ পাতার এই চার্জশিটে। অবশ্য চার্জশিট পেশের আগেই আত্মগোপন করেছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ-সহ তিন নেতা।
First Published: Saturday, March 17, 2012, 21:05