Last Updated: October 3, 2013 14:46

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হল প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের। সেই সঙ্গে ২৫ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে লালুকে। নিয়ম মেনে খারিজ হতে চলেছে তাঁর সাংসদ পদ। সেই সঙ্গে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভোটে দাঁড়ানোর অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তাঁর।
বয়স ও অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে যতটা সম্ভব কম সাজার আর্জি জানিয়েছিলেন লালুর আইনজীবী৷ কিন্তু তাতে কিছুটা কাজ হল। সিবিআই চেয়েছিল সাত বছরের জেল।
লালুর মতই বিহারের আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জেল হল। তিনি হলেন
বিহারের শাসক দল জেডিইউ সাংসদ জগদীশ শর্মা। চার বছরের জেল হওয়ায় জগদীশেরও সাংসদ পদ খারিজ হচ্ছে। সঙ্গে জগদীশকে দিতে হবে ২ লক্ষ টাকার জরিমানা।
এই সাজার কথা ঘোষণা করল রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত সোমবার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দুর্নীতি দমন আইনে দোষী সাব্যস্ত হন লালু৷ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জেলে বসেই সাজা শুনবেন আরজেডি প্রধান৷
প্রাক্তন আমলা বিএম শর্মারও ৫ বছরের জেল হয়েছে। ৪ বছরের সাজা হল কংগ্রেস সাংসদ রশিদ মাসুদের।
কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহারের পর সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী সাংসদ পদ খোয়াচ্ছেন লালুপ্রসাদ যাদব৷ গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানায়, ২ বছরের বেশি সাজা হলে দোষী সাংসদ, বিধায়করা আর আইনসভার সদস্য থাকতে পারবেন না।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রতারণা, ১২০ বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং দুর্নীতি দমন আইনের ১৩ (১) (সি), ১৩ (১) (ডি), ১৩ (২) ধারায় লালু সহ ৪৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত৷
First Published: Thursday, October 3, 2013, 16:10