Last Updated: October 21, 2011 14:18

চূড়ান্ত হেনস্থা আর গণপিটুনি। মৃত্যুর আগে ধরা পড়ে যাওয়া লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মর গদ্দাফির কপালে শেষপর্যন্ত সেটাই জুটেছিল। গুলি আর বোমায়
আহত গদ্দাফিকে মারধরের সেই দৃশ্য রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো। বিদ্রোহীদের হাতে স্বৈরশাসকের অন্তিম মুহুর্তের হেনস্থার নৃশংস ভিডিও প্রচারিত হওয়ার
পর থেকেই মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিদ্রোহীদের হাতে বন্দী বিয়াল্লিশ বছরের দোর্দন্ডপ্রতাপ স্বৈরশাসক। ন্যাটো বাহিনীর বোমাবর্ষণ আর বিদ্রোহীদের গুলিতে আহত শরীর থেকে ক্রমাগত রক্ত ঝরছে। সেই অবস্থাতেই তাঁকে টেনেহিঁচড়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে একটি গাড়ির দিকে। গদ্দাফির মৃত্যুর কারণ বিশ্বজুড়ে জল্পনা চললেও, এই অ্যামেচার ভিডিও ফুটেজ থেকে পরিষ্কার, বিদ্রোহীদের হাতে জীবিতই ধরা পড়ে ছিলেন বিয়াল্লিশ বছর ধরে থাকা লিবিয়ার একনায়ক। বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়া গদ্দাফিকে ঘিরে তখন যুদ্ধ জয়ের উল্লাস। উনসত্তর বছরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের প্রাণ ভিক্ষার আকুতিকে উপেক্ষা করেই কেউ চুল টানছেন। কেউ গা থেকে ছিঁড়ে নিচ্ছেন গদ্দাফির গায়ের পোষাক। সঙ্গে গণপিটুনি।সেই মারের চোটেই কি মৃত্যু হল মুয়াম্মার গদ্দাফির? নাকি নারকীয় তাণ্ডবের মাঝেই গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে আহত লিবিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে? পরস্পরবিরোধী সব খবরের মাঝেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মাহমুদ জিব্রিল জানিয়েছেন, এখনও মৃত্যু নিয়ে বিস্তারির তথ্য এখনও তাদের হাতে নেই। পক্ষপাতহীন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে সরকারের সেই তথ্য মানুষকে জানানো উচিত্ বলে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত লিবিয়ার স্বৈরশাসকের অন্তিম মুহুর্তের হেনস্থান ভিডিও ফুটেজ কিন্তু সেই মানবাধিকার নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।
First Published: Friday, October 21, 2011, 14:18