Last Updated: January 31, 2014 19:09

লাভপুর তৃণমূলের পঞ্চায়েতের নেতৃত্বেই সেদিন লাভপুরে সালিসি সভা বসেছিল। চিঠিতে অজয় মণ্ডলের সই তারই প্রমাণ। মোড়লকে ঢাল করে শাসকদলের কর্মীদের আড়ালের চেষ্টা চলছে। আজ এমনই অভিযোগ করল কলকাতা আদিবাসী ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন, মাঝি মাড়োয়া পরগনা সহ বেশকয়েকটি আদিবাসী সংগঠন।
লাভপুর-কাণ্ডের পরেই আদিবাসী সমাজের দিকেই আঙুলটা তুলেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুরু থেকেই আপত্তি তুলেছে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সংগঠন।
তারপর নানা তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, জরিমানা না পেলে ধর্ষণের নিদান শোনান সালিশি সভায় ছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অজয় মণ্ডল। ছিলেন আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতা। শুক্রবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করল কলকাতা আদিবাসী ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন, মাঝি মাড়োয়া পরগনার মতো আদিবাসী সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ মোড়লকে ঢাল করে রাজনৈতিক কর্মীদের বাঁচানোর চেষ্টায় আদিবাসী সমাজকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে। গ্রামেরই এক মানুষ জানান, "অজয় মণ্ডলের নেতৃত্বে সভা, শুধু উনি নয়, আরও কয়েকজন জড়িত,আমরা তদন্ত চাই, ভবিষ্যতে সিবিআই চাইতে পারি।"
আরও বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন আদিবাসী নেতারা। তাঁদের দাবি, সালিসি সভায় মোড়ল মাঝি হারাম থাকলেও নিদানে তার সায় ছিল না।
আদিবাসী সমাজের বিচার সভায় অনাদিবাসী কেউ থাকতে পারেন না। এটাই রীতি। কিন্তু লাভপুরের গ্রামের সালিশি সভায় সেই রীতি মানা হয়নি। আদিবাসী সমাজকে কলঙ্কিত করে প্রশাসন ও শাসকদল রাজনৈতিক ফয়দা লুঠতে চাইছে বলেই আদিবাসী সংগঠনগুলির।
First Published: Friday, January 31, 2014, 19:09