টালমাটাল প্রেসিডেন্সিতে উত্‍সাহ নেই অধ্যাপকদের

টালমাটাল প্রেসিডেন্সিতে উত্‍সাহ নেই অধ্যাপকদের

টালমাটাল প্রেসিডেন্সিতে উত্‍সাহ নেই অধ্যাপকদেরঅন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেসিডেন্সিকে আলাদা করে বিশেষ স্ট্যাটাস দিতে হবে। এমনটাই নিজেদের সুপারিশে লিখেছিল মেন্টর গ্রুপ। মনে করা হয়েছিল বিশেষ তকমা দিলেই দেশবিদেশের নামীদামী প্রফেসররা প্রেসিডেন্সিতে আসবেন পড়াতে। মেন্টর গ্রুপের প্রস্তাব মেনে সম্প্রতি রাজ্য সরকার প্রেসিডেন্সিকে সেন্টার ফর এক্সেলেন্সের তকমা দিয়েছে। মিলেছে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক অনুদানও। প্রেসিডেন্সিকে নিয়ে সরকারের নানান উদ্যোগেরও অন্ত নেই। কিন্তু এতকিছুর পরেও প্রফেসররা সত্যিই প্রেসিডেন্সিতে পড়াতে কতটা আগ্রহী হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নিয়োগের জন্য দু দফায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম দফার মোট ৮০ টি শূন্যপদের মধ্যে প্রায় ৩০ টি শূন্যপদ ছিল প্রফেসরদের জন্য। ইতিমধ্যেই আবেদনের দিন শেষ হয়েছে। কিন্তু অনলাইন এবং হার্ড কপি মিলিয়ে সেই আবেদনের সংখ্যা দুশর মধ্যেই আটকে গেছে। ফলে স্বভাবতই এত কম আবেদনের পিছনে কী কারণ রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এতেই শেষ নয়, এই মুহূর্তে যাঁরা বিদেশে প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন, প্রফেসর পদের জন্য তাঁদের আবেদনের সংখ্যাও হাতে গোনা। ইতিমধ্যেই শঙ্খ ঘোষের মতো প্রেসিডেন্সির বহু প্রাক্তন ছাত্র প্রেসিডেন্সি নিয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। বিতর্ক তৈরি হয়েছে যেভাবে প্রেসিডেন্সিকে উচ্চতার শিখরে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা হচ্ছে তা নিয়েও। অনেকেই মনে করছেন এই মুহূর্তে বিভিন্ন জায়গায় যাঁরা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে কাজ করছেন, প্রফেসর পদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এই টালমাটাল অবস্থায় প্রেসি়ডেন্সিতে আসতে চাইছেন না। আর সেকারণেই প্রফেসরের মতো এরকম গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানীয় পদের আবেদনের সংখ্যা ২০০ ছুঁল না।
 






First Published: Sunday, March 4, 2012, 20:39


comments powered by Disqus