Last Updated: March 29, 2012 18:38

রাজ্যের সরকারি গ্রন্থাগারে বাছাই করা সংবাদপত্র রাখার সরকারি নির্দেশিকা ঘিরে বৃহস্পতিবার ফের উত্তাল হল বিধানসভা। অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সরকারি নির্দেশিকার বিরোধিতা করে এদিন বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চান বামেরা। প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এনিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু মুলতুবি প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না। এরপরই প্রথমে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বাম বিধায়করা। শেষপর্যন্ত বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা।
এর আগে বুধবার উত্তর চব্বিশ পরগণার জেলা পরিষদ সভাপতির ক্ষমতা খর্বের প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করে বামেরা। সরকারি নোটিসের বক্তব্যের সঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভাষণে বড় রকমের অসঙ্গতি রয়েছে, এই মর্মে পঞ্চায়েতমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবার ওয়াক আউটের পর বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র অভিযোগ করেন, বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন থেকে বিধানসভায় বিরোধীদের তোলা প্রস্তাব আলোচনা করা হচ্ছে না। বিরোধীদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। এইসব বিষয়ে প্রতিবাদ আরও জোরালো করতে এদিন রাজ্যপালের কাছেও যান বাম বিধায়করা। জেলা পরিষদের ক্ষমতা খর্ব করা, বর্ধমানে সাংবাদিক নিগ্রহ, সংবাদপত্রের সেন্সরশিপসহ একাধিক বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা। গ্রন্থাগারে দৈনিক সংবাদপত্র রাখার সেন্সরশিপের ব্যাপারে রাজ্যপালের কাছে স্বারকলিপিও জমা দেন বামেরা।
বামেদের রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়াকে কটাক্ষ করে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলে তাই নিয়ে কটাক্ষ করত বামেরা। বিরোধী আসনে বসার পর সেই পথেই হাঁটতে হচ্ছে বামেদের। তবে সরকারের পাশে নেই জোটশরিক কংগ্রেসও। সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেসের দক্ষিণ শাখার পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয় শুক্রবার। টালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে শুরু হয়ে মিছিল যায় হাজরা মোড় পর্যন্ত। সরকারের এধরনের সিদ্ধান্তে রাজ্যে গণতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস নেতৃত্বের।
First Published: Thursday, March 29, 2012, 20:27