Last Updated: December 4, 2013 09:39

সিটিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শান্তিলাল জৈনকে। তাঁর জায়গায় নতুন চেয়ারম্যান হলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসাবে আনা হয়েছে পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে শান্তিলাল জৈনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পরিবহণ সূত্রে খবর।
দময়ন্তী সেন থেকে শুরু করে কে জয়রামন। সরকারের রোষানলে পড়ে পদ খোয়ানোর ঘটনা চলছেই। এবার সেই তালিকায় চলে এলেন শান্তিলাল জৈন। কেন হঠাত্ চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শান্তিলাল জৈনকে? পরিবহণসূত্রে খবর, সপ্তাহখানেক আগে কলকাতার রাস্তায় ট্রাম লাইনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাইকের ভিতরে ট্রাম লাইনের লোহার পাত ঢুকে যায়। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচেন ওই বাইকের আরোহী। এই ব্যাপারে শান্তিলাল জৈনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "শহরের অনেক রাস্তায় ট্রাম লাইনের অবস্থা খারাপ। সারানোর কথা বলে সরকারের কাছে টাকা চাওয়া হলেও সেই টাকা মেলেনি। সেকারণে রাস্তা সারানো সম্ভব হয়নি।"
সাংবাদিকদের সামনে এভাবে সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহণ সূত্রে খবর, তার জেরেই সিটিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শান্তিলাল জৈনকে। পরিবহণ দফতরের সঙ্গে তাঁর বনিবনা যে হচ্ছিল না, তার ইঙ্গিত মিলেছে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শান্তিলাল জৈনের একটি চিঠিতে। ২৯ নভেম্বর লেখা ওই চিঠিতে পরিবহণ দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। চিঠিতে শান্তিলাল লিখেছেন, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সিটিসি। পরিবহণ দফতর তাঁকে না জানিয়ে এবং তাঁর সঙ্গে পরামর্শ না করেই সব রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে বলে চিঠিতে অভিযোগ জানান তিনি। একথা উল্লেখ করে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি চান শান্তিলাল। ট্রাম লাইনের পাত উঠে আসা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের পর থেকেই শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন। সরকারের অপ্রিয় কথা বলার খেসারত দিতে হল শান্তিলাল জৈনকে। খেসারত দিতে হল নিজের পদ খুইয়ে।
First Published: Wednesday, December 4, 2013, 09:43