Last Updated: May 23, 2012 20:59

বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতির পদ থেকে মহাশ্বেতা দেবীর পত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর বাংলার শিল্পী-সাহিত্যিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
কৌশিক সেন, নাট্যব্যক্তিত্ব-অনেকদিন আগে থেকেই বর্তমান সরকারের সঙ্গে মহাশ্বেতা দেবীর সম্পর্ক সুখের নয়। আমার মনে হয়, বাংলা অ্যাকাডেমিতে না থাকলে মহাশ্বেতা দেবীর কিছু এসে যায় না। এখনও সময় আছে। যাঁরা মহাশ্বেতা দেবীর খুব কাছের মানুষ তাঁরা নিশ্চয়ই ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। সেটা সবদিক থেকেই ভাল। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ভাল হবে। অন্যদিকে, আমি এটাও মনে করি যে সাহিত্যে পুরস্কারের ক্ষেত্রে মহাশ্বেতা দেবীর মতামত গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত।
সুনন্দ সান্যাল, শিক্ষাবিদ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ার জন্য আমরা যা পেরেছি করেছি। মহাশ্বেতা দেবীও তাঁর পক্ষে ছিলেন। তাঁর সরে আসা দুঃখজনক। তবে সরকার কেন ওনার প্রস্তাব করা দুজনের মধ্যে একজনের নাম বাদ দিল জানি না।
অর্পিতা ঘোষ, নাট্যব্যক্তিত্ব, বাংলা অ্যাকাডেমির সদস্য-যে ইস্যুতে উনি পদত্যাগ করতে চেয়েছেন, সেই ইস্যুতে একজন চেয়ারম্যানের পদত্যাগ আমার কাঙ্খিত বলে মনে হয় না। বিদ্যাসাগর পুরস্কার এটাই প্রথম আর এটাই শেষবার দেওয়া হচ্ছে না। আমি খুব সম্প্রতি বাংলা অ্যাকাডেমির সদস্য হয়েছি। প্রথমত, আমি যতদূর জানি, মহাশ্বেতা দেবীর গঠন করা কমিটির সর্বসম্মতিক্রমেই দুজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। দুটি নামের মধ্যে একটি নাম বিবেচিত হয়েছে। দুজনের মধ্যে একজন পুরস্কার পেলে ওনার আপত্তির কী আছে? সেই নামটিও ওনারই তৈরি কমিটিরই প্রস্তাব। দ্বিতীয়ত, বিদ্যাসাগর পুরস্কার প্রতি বছর দেওয়া হয়। আমি দুজনের লেখাই পড়েছি। যাঁকে এই বছর বিদ্যাসাগর পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি দুজনের মধ্যে তিনি যোগ্যতর। ওর প্রস্তাব করা কোনও একজনকে পুরস্কার দেওয়া হল না বলে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো মহাশ্বেতা দেবীর মতো মানুষের পক্ষে শোভন নয়। ওর আর একবার ভেবে দেখা উচিত। অন্য কোনও বিষয়ে আঘাত পেয়ে বা অপমানিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না জানি না। তবে, যেই কারণ উনি দেখাচ্ছেন, তা যথাযথ নয়। এটা মহাশ্বেতা দেবী-সুলভ আচরণ নয়। তিনি নিজেই নিজেকে খাটো করলেন।
First Published: Wednesday, May 23, 2012, 21:01