ভেতরে যেন তুষের আগুণ জ্বলছে মালালার

ভেতরে যেন তুষের আগুণ জ্বলছে মালালার

ভেতরে যেন তুষের আগুণ জ্বলছে মালালার বই চাই। হাসপাতালে বাবার সঙ্গে দেখা হতেই এই বায়না শুরু করল মালালা ইউসুফজাই। এমুহুর্তে ব্রিটেনের হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন এই পাক কিশোরী। তালিবানি জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম মালালার পুরোপুরি সুস্থ হতে এখনও অনেকটা সময় বাকি। তবে  সময় নষ্ট করতে রাজি নয় সে। বাবার কাছে মালালার আর্জি, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হাসপাতালেই যেন নিয়ে আসা হয় তার বইগুলি।

দুশ্চিন্তা, আতঙ্ক, ভয়কে ধুয়ে দিয়ে এই চোখের জল বয়ে এনেছে স্বস্তির বার্তা। জীবনের বার্তা। মালালার জীবন, যা নিভিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ তালিবানি জঙ্গিরা। ব্যর্থ তার লড়াইয়ের মনোবল ভেঙে দিতেও। এই লড়াইয়ে মালালার পাশে রয়েছে তার গোটা পরিবার।      
  
তালিবানি ফতোয়া উপেক্ষা করে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া, মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগ নেওয়ার মাশুল হিসেবে তালিবানি জঙ্গিদের রোষের মুখে পড়তে হয় পনের বছরের এই কিশোরীকে। স্কুলবাসে উঠে মামালাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। কিন্তু এই হামলা একচুলও লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারেনি তাকে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তাই তার প্রথম আর্জিই ছিল, বই এনে দিতে হবে। মালালার সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান থেকে ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে রওনা হয় তার পরিবার। শীঘ্রই সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী চিকিত্‍সকরা।  

First Published: Saturday, October 27, 2012, 14:15


comments powered by Disqus