Last Updated: December 22, 2012 16:24

মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই দলীয় বিদ্রোহ বর্ধমানে। এই ঘটনার পর তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য। কেন এমন হচ্ছে? দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগ নিলেও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল কিন্তু কেন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর এই গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে খুনের ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে। কেন এই গোষ্ঠীকোন্দল ? উঠে আসছে নানা কারণ। সে সব নিয়েই এই প্রতিবেদন।
বছর তিনেক আগে শুরু হয়েছিল কবীর সুমনকে নিয়ে। তারপর আরও অনেকের নামই যুক্ত হয়েছে এই তালিকায়। গত একমাসে তৃণমূল কংগ্রেসের বিদ্রোহীদের তালিকায় কখনও উঠে এসেছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। কখনও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কখনও আবার সোমেন জায়া শিখা মিত্র। সর্বশেষ সংযোজন বর্ধমানে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা, দলের জেলাস্তরের সহ সভাপতি কাঞ্চন মুখার্জি।
এ তো গেল শুধুমাত্র নেতাদের বিদ্রোহের ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই জেলার কোনও না কোনও প্রান্তে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা প্রকাশ্যে উঠে আসছে। শুধুমাত্র ঝগড়া বা বিতর্ক নয়। লাঠি, গুলি, বোমা এমনকী খুনের মত ঘটনাও ঘটছে। নন্দীগ্রাম অথবা কেশপুর অথবা গড়বেতায় এইমুহূর্তে গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে ঘরছাড়া তৃণমূলের কয়েকহাজার কর্মী। দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান, উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে রীতিমতো জেরবার দলের শীর্ষ নেতারা।
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই গোষ্ঠীকোন্দল ছিল। কিন্তু কেন এভাবে দিন কে দিন হিংসাত্মক চেহারা নিচ্ছে গোষ্ঠীকোন্দল? তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার মতে মূলত ক্ষমতার ভাগ বন্টনের কারণেই মাথাচাড়া দিচ্ছে দলের গোষ্ঠীকোন্দল। সরকারি কাজের সুযোগ কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে তা নিয়েই এখন বিবাদ।
দ্বিতীয় কারণ আদি তৃণমূল বনাম নব্য তৃণমূলের লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর অন্যান্য দল থেকেও বহু কর্মী এখন নতুন করে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। এই নব্য তৃণমূলীদের সঙ্গে আদি তৃণমূলীদের লড়াই এখন রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের শীর্ষনেতাদের।
গোষ্ঠীকোন্দলে যুক্ত থাকলে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার এই হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু তাতে গোষ্ঠীকোন্দল বিন্দুমাত্র কমেছে এমন নজির কিন্তু নেই। বরং পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগ নিয়েও এই গোষ্ঠীকোন্দলকে লাগাম পড়াতে পারছেন না, এমনটাই অভিযোগ উঠছে।
First Published: Saturday, December 22, 2012, 16:24