Last Updated: February 1, 2014 17:06

নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে সিবিআই বামফ্রন্ট সরকারকে কার্যত ক্লিনচিট দেওয়ায় চরম অস্বস্তিতে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল। অস্বস্তি ঢাকতে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে যুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধেও মামলা প্রত্যাহার করছে রাজ্য সরকার।
২০০৭-এর ১৪ই মার্চ নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়া ও অধিকারীপাড়ায় পুলিসের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তদন্ত শেষ করে সম্প্রতি হলদিয়া আদালতে দুটি চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, নন্দীগ্রামে কোনও গোপন অভিযান হয়নি। রাস্তা সারাতে এলাকায় ঢোকার কথা বারবার মাইকে ঘোষণা করেছিল পুলিস। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির জমায়েত থেকে আক্রমণ আসায় পুলিস বাধ্য হয়ে গুলি চালায়।
নন্দীগ্রামে পুলিসের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ততকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ এ ভাবে খারিজ হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল। পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার ব্রিগেডে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের রাজনৈতিক বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের ফসল তুলে মহাকরণে পৌছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, লোকসভা ভোটের আগে এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সক্রিয় রাখতে শুধুমাত্র এই বার্তাই যে যথেষ্ট নয়, তা ভালোই বোঝেন তিনি। এই অবস্থায় রাজনৈতিক বার্তার পর প্রশাসনিক পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে সিবিআই চার্জশিটে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। আর সেই অস্বস্তি ঢাকতে সক্রিয় হলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার, নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন তিনি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে যুক্ত ৩০৩ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়া হবে। যদিও, সিবিআই চার্জশিটে যে সমস্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নাম রয়েছে, তাঁদের মামলা তুলতে পারবে না রাজ্য সরকার। শুধু নন্দীগ্রাম নয়, সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনে যুক্ত 122 জনের বিরুদ্ধেও মামলা তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
First Published: Saturday, February 1, 2014, 17:06