Last Updated: November 12, 2013 19:02

যতই বিতর্ক হোক, তবুও তিনি দলের নয়নমণি। বীরভূমের ইলামবাজারে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় অন্তত সেভাবেই ঘুরে বেড়ালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জনসভায় সারাক্ষণই মুখ্যমন্ত্রীর পাশে পাশেই থাকলেন। অনুব্রত, মণিরুলকে সামনে রেখেই সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জনসভা থেকে শোনালেন একগুচ্ছ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। লোকসভা নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে অনুব্রত-মণিরুলরাই যে সেনাপতি হচ্ছেও তাও স্পষ্ট হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সভায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার ছেঁড়া হলে কংগ্রেস কর্মীদের কবজি ভেঙে দেব এই মন্তব্যের পরেও অনুব্রতের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুকুল রায়। এবার ক্লিনচিট মিলল মুখ্যমন্ত্রীর তরফেও। মঙ্গলবার বীরভূমের ইলামবাজারে অনুব্রতকে নিয়েই সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চজুড়ে সারাক্ষণই দেখা গেল জেলা সভাপতির সদম্ভ উপস্থিতি। জেলা সভাপতিকে সঙ্গে নিয়েই বীরভূমবাসীর জন্য একগুচ্ছ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর।
এত উন্নয়ন, এত প্রতিশ্রুতি, হাজারো প্রকল্পের উদ্বোধনের নেপথ্যে কী? রাজনৈতিক মহলের ধারণা লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই প্রচারের কাজ সেরে রাখতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচার যুদ্ধে অনুব্রত বা মণিরুলের মতো নেতারাই যে মুখ্যমন্ত্রীর ভরসা হতে চলেছে তা যেমন স্পষ্ট হয়েছে। তেমনই উঠে এসেছে গোষ্ঠী কোন্দলের ছবিও। মঙ্গলবার ইলামবাজারের সভা থেকে তিনটি জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে দুটিই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। অথচ ওই কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়কে দেখা যায়নি সভামঞ্চে।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, দলীয় নেতৃত্বের চাপেই হোর্ডিংয়েও ঠাঁই হয়নি শতাব্দী রায়ের। এর থেকে স্পষ্ট হল আগামী দিনের ভোটযুদ্ধে অনুব্রত,মণিরুলদের ওপরই আস্থা রাখছে দল।
First Published: Tuesday, November 12, 2013, 19:02