ম্যাঙ্গো টুরিস্ট হয়ে অফ সিজনে ঘুরে আসুন মুর্শিদাবাদে

ম্যাঙ্গো টুরিস্ট হয়ে অফ সিজনে ঘুরে আসুন মুর্শিদাবাদে

ম্যাঙ্গো টুরিস্ট হয়ে অফ সিজনে ঘুরে আসুন মুর্শিদাবাদেঅফ সিজনে পর্যটক টানতে অভিনব উদ্যোগ। মুর্শিদাবাদে চালু হল ম্যাঙ্গো ট্যুরিজম। হাজারি দুয়ারি, কাটরা মসজিদের পাশাপাশি নবাবি আমের বাগানও এখন ঘুরে দেখা যাবে। ফলের রাজার সাম্রাজ্যে বসে কোহিতুর, বেগম পসন্দ বা রানি পসন্দের স্বাদ নিতে পারেন আপনিও।

মুর্শিদাবাদ। ইতিহাসের অন্যতম সেরা পীঠস্থান। হাজারদুয়ারি, ইমামবাড়া, খোশবাগ, কাটরা মসজিদ, মতিঝিল, এসব দেখার জন্য সারা বছরই পর্যটকরা ভিড় জমান বাংলার এক সময়কার রাজধানীতে।

কিন্তু হাঁসফাঁস গরমে পর্যটনে ভাঁটা পড়ে মুর্শিদাবাদে। সেই খরা কাটাতে এবার কাজে লাগানো হচ্ছে নবাবি আমবাগানগুলিকে। আমের ব্যাপারে দারুণ সৌখিন ছিলেন এখানকার নবাবরা। দেবভোগ্য ফলের স্বাদ অটুট রাখতে ধাতুর ফলা ছোঁয়ানো হোত না। খোসা ছাড়ানো হোত বাঁশের চাঁচ দিয়ে। এহেন আমপ্রিয় নবাবদের উদ্যোগেই গড়ে উঠেছিল বিশাল বিশাল আমবাগান। কোহিতুর, রানিপসন্দ, বেগম পসন্দ, নিমদাগী, এমন বহু উত্কৃষ্ট প্রজাতির আম রয়েছে এই সব বাগানে।

পর্যটকদের জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে আমের বাগান। উদ্যান পালন দফতরের তরফে কৃষকদের সেই মর্মে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ প্রজাতির আমের দর্শন মিলবে। আম চাষ থেকে প্যাকেজিং, পুরো প্রক্রিয়াটাও দেখতে পাবেন পর্যটকরা।

এমন নবাবি আমের বাগানে ঢুকে শুধুই কী দর্শনে আশ মেটে ! তাই রাখা হয়েছে রসনাতৃপ্তির ব্যবস্থাও। আমবাগানে বসে কোহিতুর, বেগম পসন্দের ফালি মুখে পুরে ফেলতে পারেন আপনিও। এভাবেই সেজে উঠেছে মুর্শিদাবাদের ম্যাঙ্গো ট্যুরিজম। জেলার আমের সুখ্যাতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে দিতে আরও ভাবনা চিন্তা চলছে।

First Published: Tuesday, June 10, 2014, 09:41


comments powered by Disqus