প্রত্যাঘাত? না কি পথ বদল? সন্ধিক্ষণে মাওবাদী আন্দোলন

প্রত্যাঘাত? না কি পথ বদল? সন্ধিক্ষণে মাওবাদী আন্দোলন

প্রত্যাঘাত? না কি পথ বদল? সন্ধিক্ষণে মাওবাদী আন্দোলনমাওবাদী আন্দোলনে বড় ধাক্কা কিষেণজির মৃত্যু। সংঘর্ষটা আসল না ভুয়ো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু নিঃসন্দেহে, দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার দিক থেকে এ এক বড় সাফল্য। তাহলে কি এবার নাশকতার পথ থেকে সরে আসতে বাধ্য হবে মাওবাদীরা?

গত এক বছরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সব থেকে বড় সাফল্য মিলেছে এ রাজ্যেই। সিপিআই মাওবাদী দলের পলিটব্যুরো সদস্য এবং এরাজ্যের দায়িত্বে থাকা কিষেণজি নিহত হয়েছেন যৌথবাহিনীর গুলিতে। এই অবস্থায় গত কয়েক বছরে এদেশে মাওবাদী আন্দোলন এবং হামলা যে পর্যায়ে পৌঁছেছিল তা ধরে রাখা দূরের কথা, চালিয়ে নিয়ে যাওয়াই যথেষ্ট সমস্যার।

দেশভিত্তিক বিচারে মাওবাদীদের শক্তি এখন ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং বিহারের মধ্যে কার্যত সীমাবদ্ধ। ইতিমধ্যে শীর্ষনেতাদের অনেকেই ধরা পড়েছেন। অনেকেই অসুস্থ। নয়া নেতৃত্ব সেভাবে গড়ে ওঠেনি। প্রকাশ্য যে সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন মাওবাদীদের শক্তি ও সামর্থ্য যুগিয়েছে, তারাও বিভিন্ন কারণে আর ততটা সক্রিয় হতে পারছে না। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কথায় যে মাওবাদীরা ছিল দেশের প্রধান অভ্যন্তরীণ বিপদ তারা অনেকটাই কোণঠাসা। এ রাজ্যের বিচারে মাওবাদীরা বিপাকে পড়েছে নয়া সরকারের রাজনৈতিক কৌশলে।

নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছিল মাওবাদীরা। ক্ষমতায় এসে শান্তি প্রক্রিয়ার আড়ালে যৌথবাহিনীর অভিযান আরও তীব্র করেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। ফলে কৌশল এবং সংগঠন, উভয় দিক দিয়েই বেশ খানিকটা বিপাকে মাওবাদীরা।

First Published: Sunday, December 25, 2011, 20:16


comments powered by Disqus