Last Updated: December 11, 2013 11:25
লালগ্রহের বুকে মিলল মিষ্টিজলের লেকের অবশেষ। আর তাতেই মঙ্গলে প্রাণের সন্ধানে আরও একধাপ এগিয়ে গেল নাসা। মঙ্গলের ইয়েলোনাইফ বে আর গেইল গহ্বরের কাছে মিলেছে হ্রদের অবশেষ। সেখান থেকে মঙ্গলযান কিউরিওসিটির পাঠানো ছবি বিশ্লেষণ করেই এখন নাসা মনে করছে, কোনও একসময় জল ছিল লালগ্রহে।
একটা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার চওড়া গহ্বর। ঘুরতে ঘুরতে সেই গহ্বরেই পৌছে গিয়েছিল নাসার মঙ্গলযান কিউরিওসিটি। সেখান থেকেই কিউরিওসিটি তুলে নিয়েছিল নুড়ি পাথরের গুঁড়ো। সঙ্গে তুলে নিয়েছিল প্রচুর ছবি। সেই ছবি আর তথ্য নাসার কাছে এসে পৌছতেই উত্ফুল্ল বিজ্ঞানীরা। কারণ, ছবি আর তথ্য বলছে ওই গেইল গহ্বর আর ইয়েলো নাইফ বে-র বুকেই সম্ভবত কোনও একসময় ছিল একটা মিষ্টি জলের লেক। বিজ্ঞানীদের অনুমান, প্রায় একহাজার বছর ওই লেকেই ছিল জল। কিন্তু, সেটা কোন সময়ে? সেটাও কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছে নাসা।
অনুমান ওই হ্রদ ছিল ৩৬০ কোটি বছর আগে। ছিল কার্বন, হাইড্রোজেনের মতো প্রাণের উত্স মৌলও। সঙ্গে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন আর সালফার থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না নাসা। তাহলে একসময় ওই লেকেই ছিল আনবিক জীব? আশায় বুক বাঁধা শুরু করে দিয়েছে নাসা। লালগ্রহে প্রাণের সন্ধানে এই তথ্যকে রীতিমতো সাফল্য বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ৩৬০ কোটি বছর আগে গেইল গহ্বরে সত্যিই কি ছিল হ্রদ? এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি নাসা। তারজন্য আরও অনেক তথ্য আর ছবি বিশ্লেষণ করতে হবে। ৩৬০ কোটি বছর আগে লালগ্রহের আবহাওয়া কিরকম ছিল, তার একটা আন্দাজ পেলেও জলের সন্ধানে কয়েকধাপ এগনো যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
First Published: Wednesday, December 11, 2013, 23:27