শ্রীলঙ্কার মিডিয়ার নিশানায় মনমোহন

শ্রীলঙ্কার মিডিয়ার নিশানায় মনমোহন

শ্রীলঙ্কার মিডিয়ার নিশানায় মনমোহনরাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে মাহিন্দা রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের আনা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে শ্রীলঙ্কার মিডিয়ার রোষের লক্ষ্য হলেন মনমোহন সিং। পক প্রণালীর ওপারের বৌদ্ধ সিংহলী জাতীয়তাবাদের সমর্থক সংবাদমাধ্যমগুলির অভিযোগ, ২০০৯ সালে লঙ্কা ফৌজের সন্ত্রাস দমন অভিযান ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ককে কাজে লাগিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে নয়াদিল্লি। ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দলগুলির চাপে মার্কিন প্রস্তাব সমর্থনের কথা বলছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কলম্বোর কাছে প্রতিবেশীর এই আচরণ `বড় ধাক্কা` বলেও মনে করছে সে দেশের গণমাধ্যম।

সোমবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানান, মাহিন্দা রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রস্তাবের পক্ষে ভারত ভোট দিতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার তামিল জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে নয়াদিল্লির দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাব যদি সঙ্গতিপূর্ণ হয় তবে তা সমর্থন করতে কোনও অসুবিধে নেই। শ্রীলঙ্কার মিডিয়ার নিশানায় মনমোহন
সম্প্রতি ব্রিটেনের বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম `চ্যানেল ফোর`-এর তরফে জেনেভার এফআইএফডিএইচ তথ্যচিত্র উত্‍সবে লিবারেশন টাইগার অফ তামিল ইলম (এলটিটিই) সুপ্রিমো ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের ছোট ছেলে বালাচন্দ্রনকে খুনের ছবি প্রকাশ করা হয়। এর আগে তথ্যচিত্র `শ্রীলঙ্কা`স কিলিং ফিল্ডস`-এ নান্থিকাদাল লেগুনের কাছে তথাকথিত `নো ফায়ার জোন`-এ এলটিটিই দমনের নামে সাধারণ তামিল নাগরিকদের উপর বোমা ও গুলিবর্ষণের `ফুটেজ`ও প্রকাশ করেছে চ্যানেল ফোর। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই কলম্বোর এই `এথনিক ক্লিনজিং`-এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রস্তাব পেশ হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘেও।

তামিল টাইগারদের দমনের নামে ২০০৮-এ শ্রীলঙ্কা ফৌজের শুরু করা `নর্দান অফেন্সিভ`-এর সময় নির্মম তামিল সংহারের বেশ কিছু কীর্তিকলাপ এর আগেও ফাঁস করেছে লন্ডনের `চ্যানেল ফোর` । ২০০৯ সালের মে মাসে উত্তর-পূর্ব শ্রীলঙ্কার মুল্লাইতিভু শহরের অদূরে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত পর্যায়ের অপারেশনে মারা যান ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ-সহ টাইগারদের প্রায় সমস্ত শীর্ষনেতা। প্রভাকরণের স্ত্রী মাথিবাদিনী, মেয়ে দ্বারকা, বড় ছেলে তথা এলটিটিই`র বিমান শাখার প্রধান চার্লস অ্যান্টনি এবং ছোট ছেলে, ১২ বছরের বালাচন্দ্রনও নিহত হন লঙ্কা ফৌজের এই `ফাইনাল স্ট্রাইক`-এ। চ্যানেল ফোর-এর দাবি এঁদের প্রত্যেককেই ধরে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে।





First Published: Tuesday, March 20, 2012, 17:35


comments powered by Disqus