Last Updated: September 24, 2012 15:33

স্ত্রী এবং অপরিণত শিশুকে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার লিলুয়ার বেলগাছিয়া এলাকায়। অভিযোগ, ধৃত জয় ঘোষ শনিবার রাতে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করে। মারধরের জেরে মহিলার অপরিণত শিশুসন্তান জন্ম নিলে, শিশুটিকে বস্তাবন্দি করে রাখে খাটের তলায়। রবিবার সকালে মহিলার মৃত্যু হয়। এই পৈশাচিক ঘটনার পর জয় ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আজ তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হবে।
হাওড়ার বেলগাছিয়ার কে রোডের বাসিন্দা জয় ঘোষ। অভিযোগ, শনিবার মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরলে ছ`মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কাকলির সঙ্গে তার বচসা শুরু হয়। স্ত্রীকে মারধর শুরু করে জয়। সেসময় কাকলির গর্ভস্থ অপরিণত সন্তান প্রসব হয়ে যায়। জয় ঘোষ শিশুটিকে একটি বস্তার মধ্যে পুরে বস্তাটিকে খাটের তলায় রেখে দেয় বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে হুঁশ ফিরলে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিত্সকরা কাকলি ঘোষকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিত্সকদের মতে, শিশুর অকাল প্রসবের ক্ষেত্রে দুটি কারণ রয়েছে। এক, গর্ভাবস্থায় শিশু মারা গেলে তবে প্রসব হতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রসব হতেও সময় লেগে যায় তিন থেকে চারদিন। আবার, জরায়ুতে আঘাত লাগলেও শিশুর অকাল প্রসব হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কী কাকলিদেবীর জরায়ুতেই আঘাত করা হয়েছিল? সে প্রশ্নও যেমন উঠছে, তেমনই অভিযোগ উঠেছে, মা এবং শিশুর মধ্যে সংযোগকারী অ্যাম্বেলিকাল কর্ড কেটে দিয়েছিল জয়। এই পৈশাচিক ঘটনার পর সরব এলাকার বাসিন্দারা।
জয় এবং কাকলির তিন সন্তান রয়েছে। তা সত্ত্বেও, কাকলিদেবীর অপরিণত শিশুসন্তান প্রসব হয়ে যাওয়ার পর, কেন চিকিত্সক ডাকার পরিবর্তে শিশুটিকে বস্তাবন্দি করে খাটের তলায় দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কেনই বা ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পরে রবিবার বেলার দিকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল কাকলিদেবীকে? সেপ্রশ্নেরও উত্তর মিলছে না। জয় ঘোষের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
First Published: Monday, September 24, 2012, 15:33