Last Updated: July 24, 2013 21:55

উস্কানিমূলক মন্তব্য করায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। পার পেয়ে যাচ্ছেন মণিরুল ইসলামের মতো শাসক দলের নেতারাও। উদাসীন প্রশাসন। বীরভূমের ওই দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে এবার জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ওই জেলারই লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করে নির্বাচনি বিধিভঙ্গের দায়ে পড়েছেন দুজনই। কমিশন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা এখনও কানে তোলেনি সরকার। বরং ওই নেতাদের পাশেই যে রয়েছে দল, তা বুঝিয়ে দিলেন মদন মিত্র। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বীরভূমের জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারকে চিঠি দিয়ে জবাব দাবি করল নির্বাচন কমিশন। অনুব্রত মণ্ডল এবং মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম চার দফার ভোটেই রাজ্যবাসী সাক্ষী হয়েছেন রক্তাক্ত ভোটের। ভোটের দিন এবং তারপরেও চলছে খুন-জখম-সন্ত্রাস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভাট্টাচার্য অভিযোগ করেন, "রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। সেকারণেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত হিংসার ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতি তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দেখেননি।"
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা সামাল দিতে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বারো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ভোটগণনার দিন অশান্তি এড়াতেও কমিশনের ভরসা কেন্দ্রীয় বাহিনীই। ওইদিন ৪৫কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে। ৩২৯টি ব্লকের সবকটি গণনাকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জেলাশাসকদের এই সংক্রান্ত নির্দেশ দিচ্ছে কমিশন।
ভোট শেষপর্বে পৌঁছে গেলেও এখনও কমিশনকে আক্রমণের কোনও সুযোগ ছাড়ছে না সরকার। নির্বাচন কমিশন একতরফাভাবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। তাঁর অভিযোগ, সিপিআইএম, বিজেপি, কংগ্রেসকে মদত দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ভোটে হিংসা-প্রাণহানি রোখা যায়নি। সরকারের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে গণনাপর্বও কতটা শান্তিতে মিটবে তা নিয়ে সংশয়ে কমিশন কর্তারাও।
First Published: Wednesday, July 24, 2013, 21:55