Last Updated: August 23, 2012 17:19

সনাক্ত করা হল হল বেলঘরিয়ার নিখোঁজ ছাত্রী সোহিনী পালের দেহ। বুধবার রাতে নর্থপোর্ট থানায় গিয়ে পোশাক দেখে সোহিনীর দেহ সনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যেরা। গত ১৩ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার হাওড়ার লঞ্চঘাট থেকে দেহ উদ্ধার হয় সোহিনীর ক্ষতবিক্ষত দেহ।
তবে দেহটি সোহিনীরই কিনা তা নিয়ে ধন্দে ছিল পুলিস। বাড়ির লোক পোষাক থেকে দেহ সনাক্ত করার পর রাতে মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত হয় সোহিনীর দেহের। বেলঘরিয়ার মহাকালী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত সোহিনী। তাঁর মৃত্যুতে রহস্য দানা বেধেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
গত ১৩ অগাস্ট মা ও বোনের সঙ্গে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন সোহিনী৷ এরপরই প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাচ্ছে বলে একাই একটি বাসে উঠে চলে যান সোহিনী। সেই রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। গৃহশিক্ষককে ফোন করে বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন সেই রাতে পড়তেই যাননি তিনি। নিখোঁজ হওয়ার দিন বাড়িতেই মোবাইল ফেলে যান তিনি৷ সেই মোবাইলে একটি ড্রাফট মেসেজ উদ্ধার করেন তাঁর মা। তাতে লেখা ‘আমি চলে যাচ্ছি৷ আমার জন্য চিন্তা কোরও না’৷ সেই রাতেই নিমতা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। এর পরেও তাঁর খোঁজ না মেলায় অপহণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বাড়ির লোক।
ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁর ঘনিষ্ট বান্ধবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে পুলিস৷ সেই সূত্রেই পুলিস জানতে পারে কোনও প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন না সোহিনী। একই সঙ্গে ৭-৮টি সিমকার্ড ব্যবহার করতেন তিনি বলে জানিয়েছে পুলিস৷ তদন্তে বেশ কয়েকটি ডায়েরি ও চিঠিও হয়েছে৷ সেই ডায়রি এবং চিঠির ভিত্তিতে পুলিসে প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন সোহিনী।
পুলিসের অনুমান, জলে ডুবে আত্মহত্যা করেছেন সোহিনী। সেক্ষেত্রে দেহটি এতদিন পরে কেন উদ্ধার হল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত সোহিনীর যে ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে, তা থেকে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিস। ডায়েরিতে ১৩ মার্চ তারিখটিকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বাজে দিন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এই সূত্র ধরেই এখন তদন্তে এগোতে চাইছে পুলিস। তাহলে কি কোনও ঘটনার হাত থেকে বাঁচতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন সোহিনী? নাকি কোনও চক্রে পড়ে গিয়েছিলেন কৃতী এই ছাত্রী? সোহিনী মৃত্যু রহস্যে এখন এইসব প্রশ্নেরই উত্তর পেতে চাইছে পুলিস। বুধবার রাতে মেডিক্যাল কলেজে সোহিনীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
First Published: Thursday, August 23, 2012, 17:19