Last Updated: February 16, 2013 20:53

ফিরহাদ হাকিমের অপসারণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টেই বল ঠেললেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। সেইসঙ্গে, রাজ্য সরকারের ওপর চাপ আরও খানিকটা বাড়ালেন। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে সরানোর দাবি তুলেছেন বিরোধীরাও। ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে আপাতত ফিরহাদ হাকিমের কিছুটা ডানা ছাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁকে সরানোর কোনও পরিকল্পনা যে দলের নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনেই তা স্পষ্ট।
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর একাধিকবার অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। পুরমন্ত্রীর এই ভূমিকায় ক্ষোভ চেপে রাখেননি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। প্রশ্ন তুলেছেন সরকার চালানোর দক্ষতা নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের দাবি, ঘরোয়া আলোচনায় রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে দিতেন। শনিবার এই ইস্যুতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেললেন রাজ্যপাল।
একই দাবি তুলেছেন বিরোধীরাও। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "মুখপত্র থেকে অপসারণ নয়, মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে ফিরহাদ হাকিমকে।"
ঘরে বাইরে যখন ফিরহাদ হাকিমকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর দাবি উঠছে, তখন শুধুমাত্র দলের কিছু দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা হল। ফিরহাদ হাকিমকে আপাতত সাংবাদিকদের সামনে মুখ না খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সভা সমিতিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু, এখনই তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও দলের সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদ হাকিমকে মুখ্যমন্ত্রী যে পুরমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে চান না তা প্রমাণ করেছে শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলন। ফিরহাদ প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করলেন না তিনি।
First Published: Saturday, February 16, 2013, 20:53