Last Updated: December 6, 2011 21:55

চাকরির দাবিতে গ্রামবাসীদের আন্দোলনে আরও একবার থমকে গেল ইস্কোর আধুনিকীকরণের কাজ। বর্ধমানের পুরুষোত্তমপুরে গ্রামবাসীদের ওই আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁদের সাফ কথা, জমির বদলে চাকরির প্রতিশ্রুতি না মানা হলে রেলের লাইন সম্প্রসারণের কাজও আটকে দেবেন তাঁরা। আন্দোলনের জেরে বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখে দাঁড়িয়ে প্রকল্প গুটিয়ে নেওয়ার কথাও ভাবছেন ইস্কো কর্তৃপক্ষ। জমির পরিবর্তে চাকরির দাবিতে আন্দোলনের জেরে ফের থমকে গেল পুরুষোত্তমপুর গ্রাম সংলগ্ন ইস্কোর আধুনিকীকরণের কাজ। শনিবার আধুনিকীকরণের কাজে এলে বাধা দেওয়া হয় কাজের বরাত পাওয়া বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের।
শনিবার কাজ বন্ধ থাকায় ওই সংস্থার প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সতের হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে বারো হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ইস্কো। এভাবে চলতে থাকলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা থাকবে না বলে জানিয়েছেন ইস্কোর জনসংযোগ আধিকারিক।

২০০৭ সালে পুরুষোত্তমপুরে জমি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের আশা এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সহানুভূতির সঙ্গে চাকরির দাবির কথা বিবেচনা করবেন। স্থানীয় একটি ধর্মস্থানের কয়েক শতক জায়গার দাবি ছাড়তে নারাজ গ্রামবাসীরা। ওই দেবস্থানের জমিকে সামনে রেখে গ্রামবাসীদের আন্দোলনে সায় রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পবিত্র মাজিরও।
First Published: Tuesday, December 6, 2011, 23:12