Last Updated: September 3, 2013 20:55

চরম অস্বস্তিতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত অমিত শাহকে আড়াল করতে অভিযোগকারীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। অস্বস্তি বাড়িয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাসপেনশনে থাকা আইপিএস আফিসার ডিজি বানজারাও। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে কোণঠাসা করতে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে কংগ্রেস।
সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ হত্যা মামলায় নতুন করে অস্বস্তিতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ঘটনার মূল অভিযুক্ত অমিত শাহকে বাঁচাতে তদন্ত প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগকারীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনা হয় বিজেপি-র শীর্ষনেতা প্রকাশ জাভড়েকর ও বিজেপি সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদব ও সংঘনেতা রামলালের বিরুদ্ধে। মামলায় বলা হয়েছে, মোদী ঘনিষ্ঠ অমিত শাহকে বাঁচাতে একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। পরিকল্পনা মাফিক, সোহরাবুদ্দিন মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিসি সংঘর্ষে মৃত তুলসি প্রজাপতির মাকে দিয়ে ভুল তথ্য সংবলিত ছটি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। গতবছর অগস্টে এই পরিকল্পনার পিছনে ছিলেন মোদিও। প্রজাপতির মাকে সই করানোর কাজটি করেছিলেন জাভেকর ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিক। সেসময় ওই সাংবাদিকই গোটা পরিকল্পনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন। পরে সেই স্টিং অপারেশনের সিডি সুপ্রিম কোর্টে জমা দেন তিনি। হৈচৈ পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে কংগ্রেস।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন সাসপেনশনে থাকা আইপিএস অফিসার ডিজি বানজারা। তাঁর অভিযোগ, ভুয়ো সংঘর্ষ ঘটনায় গা বাঁচাতে অভিযুক্ত পুলিস অফিসারদের জোর করে জেলে পুরে রেখেছেন মোদী। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকেই সামনে রেখে লড়ছে বিজেপি। লালকৃষ্ণ আডবানির মতো শীর্ষনেতার আপত্তি সত্ত্বেও, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার জন্য চাপ বাড়িয়েছে সংঘ পরিবারও। এই পরিস্থিতিতে, সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ হত্যা মামলায় নতুন করে নাম জড়িয়ে যাওয়া মোদীর ভাবমূর্তিতে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
First Published: Tuesday, September 3, 2013, 20:55