Last Updated: September 18, 2013 23:32

লোকসভা ভোটের প্রচারে আপাতত উত্তরপ্রদেশকেই পাখির চোখ করছে বিজেপি। এই রাজ্য দিয়েই সম্ভবত প্রচার শুরু করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। জাতীয় রাজনীতির ময়দানে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির দিকে একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতেই এই রণকৌশল নিয়েছে বিজেপি। একই সঙ্গে দলে ঐক্যের ছবিটা ধরে রাখতেও মরিয়া বিজেপি। সব ঠিক থাকলে পঁচিশে সেপ্টেম্বর ভোপালে দলের কর্মিসভায় একমঞ্চে দেখা যেতে পারে আডবাণী এবং মোদীকে।
গোয়ায় হয়েছিলেন প্রচারের মুখ। আর সেই উত্থানে দলের সিলমোহরটা লেগেছে গত শুক্রবার। প্রধানমন্ত্রী পদে বিজেপির প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। দলের অন্দরের কোন্দলও এখন কার্যত ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তাই আর সময় নষ্ট করতে রাজি নয় বিজেপি। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে প্রচারে ঝড় তুলতে চায় তারা। কিন্তু, কোন রাজ্যে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হবে? অঙ্ক কষে আপাতত উত্তরপ্রদেশকেই বেছে নিয়েছেন বিজেপির ম্যানেজাররা। কারণ একটাই। জাতীয় রাজনীতির ময়দানে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া। রায়বেরিলি বা আমেঠিকে কংগ্রেস যেভাবে প্রতি ভোটে তুরুপের তাস করে, সেই জায়গাটাতেই ধাক্কা দিতে চায় বিজেপি। একইসঙ্গে নতুন করে জাতীয়তাবাদকেও আঁকড়ে ধরতে চায় তারা. আর এখানেই বিজেপিকে চেপে ধরতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস।
আর, মুজফ্ফরনগর নিয়ে সপা তাদের দিকে আঙুল তোলাতেও বেজায় চটেছেন বিজেপি নেতারা। সেখানেও যোগ্য জবাব দেওয়ার পথটা খুলতে চাইছে তারা। আর সেই জন্যই নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তাকেই পুরোদস্তুর কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। এখানেই শেষ না। ভাবাবেগের তাসও রয়েছে তাদের হাতে। লখনউ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। তাই ডিসেম্বরে সেখানেই সমাবেশের আয়োজন শুরু করে দিয়েছেন দলের ম্যানেজাররা। লক্ষ্য একটাই। মায়াবতীর ক্রাউড পুলার ইমেজ যেন ধাক্কা খায় মোদী-ম্যানিয়ার সামনে।
ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে প্রচার নিয়েও। উমাভারতী এখন ফের ঘরের মেয়ে। পাশে রয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। তাই সবদিক ঠিক থাকলে পঁচিশে সেপ্টেম্বর ফের একমঞ্চে দেখা যেতে পারে মোদী এবং আডবাণীকে। প্রচার না, দলের কর্মিসভায় ফের একমঞ্চে বসতে পারেন তারা। সুখবরের ইঙ্গিত মিলেছে দক্ষিণ থেকেও। ফের বিজেপিতে ফিরতে পারেন ইয়েদ্দুরাপ্পা। নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করায় বিজেপি নেতৃত্বের ওপর থেকে অনেকটাই রাগ পড়েছে বিএসের। তাঁর দল মোদীর পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। এই ইঙ্গিত পাওয়ার পরই অনন্ত কুমার শিবিরকে বোঝানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। সবমিলিয়ে, ঘর গুছিয়েই প্রচারের কাজটা দ্রুত শুরু করে দিতে চাইছে তারা। আর সেই ছকে বিজেপির প্রধান ঘুঁটি নরেন্দ্র মোদী।
First Published: Wednesday, September 18, 2013, 23:32