Last Updated: April 13, 2012 21:36

বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। শেষকৃত্যের আগে তাঁর দেহ শায়িত ছিল রবীন্দ্রসদনে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান চলচ্চিত্র জগত, নাট্য জগত এবং রাজনৈতিক জগতের ব্যক্তিরা। উপস্থিত ছিলেন তাঁর অসংখ্য গুণমুগ্ধ।
দীর্ঘ রোগভোগের পর বৃহস্পতিবার জীবনাবসান হয় বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব এবং কবি মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ শায়িত রাখা হয় রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গনে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মনোজ মিত্র, মেঘনাদ ভট্টাচার্যের মতো নাট্যব্যক্তিত্বরা।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে মনোজ মিত্র বলেন, ওনার মৃত্যু মানে বাংলা থিয়েটারের একটা বড় শূণ্য তৈরি হয়ে যাওয়া। শুধু বাংলা থিয়েটার নয়, ভারতীয় থিয়েটারের একটা স্বতন্ত্র ধারা স্তব্ধ হয়ে যাওয়া। মেঘনাদ ভট্টাচার্য বলেন, ওনার সঙ্গে কথা বলে একজন নাটকের মানুষ যতটা সমৃদ্ধ হতে পারতেন, সেই অভাবটা আজ সবচেয়ে বড় করে দেখা দিচ্ছে।
শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। শোকস্তব্ধ কণ্ঠে প্রয়াত নাট্যকারের ছেলে সায়ন চ্যাটার্জি বলেন, বাবা সবসময় আমার সাথে ছিলেন। উনি অসংখ্য নাটক, প্রবন্ধ লিখেছেন। কিন্তু কোনও সময়ই আমাদের মনে হয়নি যে লেখার জন্য বাবাকে পাচ্ছি না। প্রত্যেক মুহুর্তেই উনি আমাদের ঘিরে ছিলেন।
এক সময়ের সহকর্মীকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন চিত্রপরিচালক মৃণাল সেনও। মৃণাল সেনের `মৃগয়া,` `ওকা উরি কথা` সহ বেশ কয়েকটি ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন মোহিত চট্টোপাধ্যায়। বিশিষ্ট এই নাট্যব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা জানান কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র সহ রাজনৈতিক জগতের ব্যক্তিত্বরা। সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, আমাদের কাছে একটা বিশাল ক্ষতি। পরবর্তী প্রজন্মও বঞ্চিত হবে।
প্রায় দেড় ঘণ্টা শায়িত রাখার পর মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা মহাশশ্মানে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর।
First Published: Friday, April 13, 2012, 21:42