Last Updated: September 21, 2012 13:32

ইউপিএ ২-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূলও কংগ্রেস যখন সরকার ছাড়ার প্রস্তুতি পর্ব শেষ লগ্নে পৌঁছেছে, তখন মনমোহন সিংকে আশ্বস্ত করে সরকারের পাশেই দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন সপা প্রধান মুলায়ম সিং যাদব। তবে মন্ত্রিসভার দর কষাকষিতে নয়, বাইরে থেকেই সরকার টিঁকিয়ে রাখতেই আপাতত সাহায্য করবে সমাজবাদী পার্টি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে সপা প্রধান জানিয়েছেন জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দূরে সরাতেই দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করবে তাঁর দল। তবে খুচরো ব্যবসায়ে বিদেশি বিনিয়োগের প্রশ্নে বিরোধিতার অবস্থান থেকে তাঁদের দল সরবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে, পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে অকংগ্রেস, অবিজেপি দলগুলির জোটই যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে এমন দাবিও করেছেন তিনি।
এই মুহূর্তে লোকসভায় ইউপিএ-র সদস্য সংখ্যা ২৬৮। এর মধ্যে রয়েছে ১৯ জন তৃণমূল সাংসদের সমর্থনও। তৃণমূল সমর্থন তুলে নিলে ইউপিএ-র সদস্য সংখ্যা নেমে আসবে ২৪৯-এ। সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করছে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি ও আরজেডি। লোকসভায় তিন দলের মিলিত সাংসদ সংখ্যা ৪৬। তৃণমূল না থাকলেও কংগ্রেস যদি ভবিষ্যতেও এদের সমর্থন নিশ্চিত করতে পারে তাহলে সরকারের পক্ষে থাকবে ২৯৫ জন সাংসদের সমর্থন, যা ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে ২৩ বেশি।
আরজেডি-কে নিয়ে কংগ্রেসের চিন্তা নেই। কিন্তু, মুলায়ম-মায়াবতী সমর্থন তুলে নিলে কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু সরকার চালাতে হবে। কোনও একজন সমর্থন তুলে নিলেও সরু সুতোয় ঝুলতে থাকবে সরকারের ভাগ্য। ফলে, এম ফ্যাক্টর চিন্তায় রেখেছিল ১০ জনপথকে। এই অবস্থায় মায়াবতী, মুলায়ম দুজনকেই ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস। মায়াবতী বনধ সমর্থন না করলেও মুলায়ম কিন্তু সরকারকে চাপে রাখতে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলে। ফলে, উত্তরপ্রদেশের এই দুই যুযুধান দলের সঙ্গে দর কষাকষির খেলায় কংগ্রেস কতটা সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছতে পারে এখন সেদিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। মুলায়ম সিং যাদবের সমর্থন ঘোষণার পর স্বভাবতই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল কংগ্রেস।
First Published: Friday, September 21, 2012, 13:32