Last Updated: August 26, 2013 09:13

মুম্বই গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত পাঁচ দুষ্কৃতীই পুলিসের জালে ধরা পড়েছে।
কিন্তু যে মোবাইল ফোনটিতে দুষ্কৃতীরা নিগৃহীতা মেয়েটির ছবি তুলেছিল এখনও
খুঁজে পাওয়া যায়নি সেই ফোনটি। অন্যদিকে, ধৃতরা এর আগেও বাড়ি ভেঙে ডাকাতির
মত অপরাধ করেছে বলে জানা গেছে। এর জন্য আগেও জেলেও যেতে হয়েছিল তাদের। তবে
পুলিসের খাতায় ধৃতদের বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহের কোনও অভিযোগ না থাকলেও, পুলিস
দাবি করেছে জেরায় এর আগেও নারী নিগ্রহের কথা স্বীকার করেছে তারা। ধৃতদের
৩০ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মুম্বইয়ে চিত্র সাংবাদিককে ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। পঞ্চম ও শেষ অভিযুক্ত সেলিম আনসারিকে আজ আদালতে তোলা হবে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহ্বান জানিয়েছেন, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে গণধর্ষণ কাণ্ডের বিচার হবে।
ছাব্বিশ এগারো মুম্বই হামলার মামলায় যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন, সেই উজ্জ্বল নিকমকে মুম্বই ধর্ষণ মামলায় সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। বিজয় যাদব, চাঁদবাবু সাত্তার শেখ, সিরাজ রহমান খান, মহম্মদ কাসিম হাফিজ শেখ, এই চার অভিযুক্ত আগেই ধরা পড়েছিল। রবিবার মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারা দিল্লি থেকে সেলিম আনসারিকে গ্রেফতার করেন। সেলিম এলাকায় আসতে পারে। এই খবর পাওয়ার পরই জাল বিছিয়ে ফেলেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারী অফিসারদের একটি দল ভরতনগর থানায় পৌঁছে যায়। এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে সেলিম আনসারিকে গ্রেফতার করা হয়।
চিত্র সাংবাদিককে ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে ২৭ বছরের সেলিমই বয়সে সবচেয়ে বড়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহ্বান জানিয়েছেন, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে গণধর্ষণ মামলার বিচার হবে। ধর্ষিতা যাতে সুবিচার পান, সেকথা মাথায় রেখে উজ্জ্বল নিকমকে এই মামলায় সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এর আগে ছাব্বিশ এগারো মুম্বই হামলা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন নিকম।
মুম্বইয়ের যশলোক হাসপাতালে ধর্ষিতা তরুণীর চিকিত্সা চলছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তরুণীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তিনি ঠিকমতো খাওয়াদাওয়াও করছেন। বাইশে অগাস্ট ঘটনার দিন, তরুণীর পুরুষ সহকর্মীকে বেঁধে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। তরুণী যাতে চিত্কার করতে না পারেন, সেই জন্য ধর্ষণের সময় তাঁর গলার কাছে বিয়ারের একটি ভাঙা বোতল ধরে রাখা হয়। ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ওই বোতলটি উদ্ধার করেছে পুলিস। তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য ধর্ষণের ঘটনা নিজেদের মোবাইল ফোনে ক্যামেরাবন্দি করেছিল দুষ্কৃতীরা। ওই মোবাইল ফোনের সন্ধানে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস। জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে ধৃত অভিযুক্তদের। কিন্তু এবিষয়ে তাদের কেউই এখনও পর্যন্ত পুলিসকে কোনওরকম সহযোগিতা করেনি বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
First Published: Monday, August 26, 2013, 14:46