Last Updated: August 23, 2013 14:12

মুম্বইয়ে চিত্র সাংবাদিক ধর্ষণ কাণ্ডে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। সেই সঙ্গেই ধর্ষণ কান্ডে বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে মুম্বইয়ের রাজ্য সরকার। ধর্ষিতার তরফে মামলা লড়বেন আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম। সাত দিনের মধ্যে মামলায় চার্জশিট গঠনের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
মুম্বই পুলিস কমিশনার সত্যপাল সিং জানান, আমরা এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। সে দোষ স্বীকার করেছে। অন্য অভিযুক্তদের নামও বলেছে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে সিং জানান, ক্রাইম ব্রাঞ্চের ১০ জন সদস্য সহ ২০টা পুলিসের টিম বাকি ৪ অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার কাজ চালাচ্ছে। ঘটনার পরই ধর্ষিতা ও তাঁর সহকর্মীর(ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী)বয়ান অনুযায়ী ৫ অভিযুক্তর স্কেচ তৈরি করে পুলিস।
শুক্রবার যশলোক হাসপাতালে অস্ত্রপচার হয়েছে ধর্ষিতা। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। পুলিসকে তিনি জানিয়েছেন, পারেলের শক্তি মিল কম্পাউন্ডে তাঁর ওপর অত্যাচার চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ নথিভুক্ত করার পরে ওই তরুণীর সহকর্মীর বয়ানও রেকর্ড করে মুম্বই পুলিস। বয়ানের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয় পাঁচ দুষ্কৃতীর স্কেচ। তদন্তে বিশেষ দল গঠনের পাশাপাশি কাজ শুরু করে মুম্বই পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চও।
পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যায় কর্মসূত্রে শক্তিমিল কমপাউন্ডে যান নির্যাতিতা তরুণী সাংবাদিক। সেখানেই দুষ্কৃতীরা তাঁকে টেনে একটি মিল বিল্ডিংয়ে টেনে নিয়ে যায়। মারধর করে ওই সাংবাদিকের সঙ্গী পুরুষ বন্ধুকে। তরুণীর বন্ধুকে বেঁধে রেখে তাঁর সামনেই পাঁচ দুষ্কৃতী তরুণীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সঙ্গেই তরুণীকে দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলেও অভিযোগ। নির্যাতিতা তরুণীর বয়ান অনুযায়ী প্রথমে দু`জন তাঁকে টেনে বিল্ডিংয়ে নিয়ে যায়। ঐ দু`জনই বাকিদের ডেকে আনে। দুই দুষ্কৃতী পরস্পরকে রুপেশ ও সাজিদ নামে ডাক ছিল বলেও জানিয়েছেন তরুণী।
তরুণী ও তাঁর বন্ধুর বয়ান অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের ছবি আঁকার চেষ্টা করছেন পুলিসের শিল্পীরা। আজ সকালে যশলোক হাসপাতালে নির্যাতিতাকে দেখতে যান মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর আর পাটিল। পাটিল জানিয়েছেন দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হবে।
First Published: Friday, August 23, 2013, 23:31