Last Updated: June 23, 2014 19:13
ছাত্রভর্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই বাতিল হয়ে গেল নদিয়ার ভট্টবালা বিএড কলেজের অনুমোদন। একইসঙ্গে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে টাকা দিয়ে ভর্তি হওয়া উনচল্লিশ জন ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যত। প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরের সামনে ধর্নায় বসেন ছাত্রছাত্রীরা। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগাল অফিসার।
চাপড়ার ভট্টবালা বিএড কলেজে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন উনচল্লিশ জন ছাত্রছাত্রী। এমন অভিযোগ সামনে আসার পর পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে তদন্ত শুরু করতে বলে উচ্চশিক্ষা দফতর। এর পরেই কলেজের অনুমোদন বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই পাশাপাশি এবছর পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ উনচল্লিশ জন ছাত্রছাত্রী।
অতিরিক্ত টাকা দিয়েই কলেজে ভর্তি হয়েছেন তাঁরা, সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। এঘটনায় তাঁরা অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল ছাত্রনেতা তন্ময় আচার্যের বিরুদ্ধে। নাম জড়িয়েছে বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিকেরও।
লিগাল অফিসার অলোক কুমার ঘোষ।
তবে টাকা দিয়ে যাঁরা কলেজে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদেরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিএড পরীক্ষা শুরু সাতই জুলাই। হঠাত্ই পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই উনচল্লিশ জন ছাত্রছাত্রী। প্রতিবাদে উপাচার্যের ঘরের সামনে ধর্নায় বসেন তাঁরা। তবে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি উপাচার্য। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগাল অফিসারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ছাত্রীছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকেরা। আলোচনা শেষে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস মিললেও
বেরোয়নি কোনও সমাধান সূত্র। ফলে কি হতে চলেছে উনচল্লিশ জন ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যত্ তা আপাতত অতল অন্ধকারেই। একইসঙ্গে অনুমোদন বাতিল হওয়ায় পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে ভর্তি নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
First Published: Monday, June 23, 2014, 19:13