Last Updated: June 12, 2014 08:43

প্রথম ভাষণে ভাষণের ব্যপ্তি পঁয়তাল্লিশ মিনিট। কিন্তু, ওই সময়টুকুর মধ্যেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বা দলের একক নেতা আর তিনি নন। তিনি এখন শুধুই প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান থেকে দলকে বিনম্র হওয়ার উপদেশ।
এক অন্য নরেন্দ্র মোদীকে দেখল রাজ্যসভা।প্রথমবার বিধায়ক হয়েই মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমবার সাংসদ হয়েই প্রধানমন্ত্রী। তাঁর উত্থানের গ্রাফটা এরকমই মাইলফলক দিয়ে সাজানো। উঠে এসেছেন নিজে। অনেকটা উঠিয়ে এনেছেন গোটা দলটাকে। আর এই গোটা পথটাই সম্ভবত অনেকটাই বদলে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে আজ তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাই রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণে নরেন্দ্র মোদী ষোলো আনা স্টেটসম্যান। পঁয়তাল্লিশ মিনিটের ভাষণে আগাগোড়াই ছিল রাজ্যগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা।
রয়েছে উন্নয়নের ডাক। কিন্তু, কোনওকিছুই রাজ্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পরিকাঠামোর দিকে নজর রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। সবাইকে নিয়ে চলা আর প্রতিযোগিতার মধ্যে যে কোনও সংঘাত নেই, বুঝিয়ে দিয়েছেন সেটাও।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে। কিন্তু, সেই সংখ্যা যেন অহংকারের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, সেই সতর্কবাণীও শুনিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আর সংসদের উচ্চকক্ষে দাঁড়িয়ে এক নতুন ক্যাবিনেটের রূপরেখা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
সংসদে প্রথম ভাষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। স্বভাবতই ছিল উন্নয়নের দিশা। কিন্তু, কোথাও দাঁড়িয়ে নিজেকে সকলের থেকে আলাদা প্রমাণের চেষ্টা করে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রীর পদ দলীয় রাজনীতির অনেকটাই ঊর্ধ্বে। কিন্তু, যে স্বপ্ন তিনি দেখালেন, তা কি বাস্তবের মাটি স্পর্শ করবে?
First Published: Thursday, June 12, 2014, 08:43