Last Updated: April 2, 2012 11:09

ট্যাক্সির নতুন মিটার নিয়ে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ট্যাক্সির নতুন মিটারের আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও দুদিন বাড়ানোর জন্য হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। গত ৩১ মার্চ এই সময়সীমা শেষ হয়েছে।
অপরদিকে নতুন মিটারের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে আবেদন পত্র জমা দিতে না পারায়, আজ কলকাতার রাস্তায় নামেনি প্রায় ৩,০০০ ট্যাক্সি। এর মধ্যেই প্রিন্টার সহ নয়া মিটার বসানোর জন্য বাড়তি সময় চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন ট্যাক্সি মালিকরা। পরিবহণ দফতরের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থার আর্জি জানাবেন তাঁরা। ট্যাক্সির নয়া মিটার নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আজ দুপুরে সরকারি আইনজীবী এবং পরিবহণ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে মহাকরণে বৈঠকে করবেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। হিসেব অনুযায়ী, মহানগরীতে এ মুহূর্তে চলাচলকারী ট্যাক্সির সংখ্যা প্রায় ৩৪,০০০। এর মধ্যে অর্ধেকরও বেশি ট্যাক্সিতে এখনও পর্যন্ত নতুন মিটার বসেনি। ৭,০০০ ট্যাক্সি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করেনি বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গেছে। বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিমল গুহর অভিযোগ, মোটর ভেহিকেলসের কাউন্টার বন্ধ থাকায় নতুন মিটারের জন্য আবেদন করা যায়নি।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে একটি জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৩১ মার্চের মধ্যে প্রিন্টার সহ নতুন মিটারের আবেদন করতে হবে ট্যাক্সি চালক ও মালিকদের। অন্যথায় ট্যাক্সির পারমিট বাতিল করাহবে। কিন্তু গত শনিবার, হাইকোর্টের নির্দেশকে কার্যত অমান্য করার অভিযোগ ওঠে রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের বিরুদ্ধে। ওই দিন ট্যাক্সি চালক ও মালিকরা অভিযোগ করেন, তাঁরা নতুন মিটারের আবেদন জমা দিতে গেলেও বেলা সোওয়া দুটো পর্যন্ত আলিপুর মোটর ভেহিকেলস-এ এই আবেদন জমা নেওয়ার জন্য কাউন্টারই খোলা হয়নি। ফলে, ট্যাক্সি চালক ও মালিকরা আবেদন জমা দিতে পারেননি। এই নিয়ে বেলতলা মটোরভেইকেলস অফিসে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ক্ষুব্ধ চালক ও মালিকরা পথ অবরোধও করেন। পরে পুলিসের হস্তক্ষেপে সাময়িকভাবে সমস্যা মেটে।
First Published: Monday, April 2, 2012, 12:29