Last Updated: April 15, 2012 17:02

নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়েও স্থান করে নিল কার্টুন কাণ্ড। পয়লা বৈশাখ সকাল থেকে বছর যতই বাসি হচ্ছে, নেটে-এসএমএসে ছড়িয়ে পড়ছে শাসকদলের প্রতি ব্যঙ্গের তীব্র বার্তা। জবাব আসছে উল্টোদিক থেকেও।
প্রতিবাদের অমোঘ হাতিয়ার ব্যঙ্গরস। ব্যঙ্গের কষাঘাতে বারবার প্রতিবাদী হয়েছে বাঙালি। কার্টুন কাণ্ডে প্রশাসনিক খোঁচায় বেরিয়ে এল বাঙালির সেই প্রতিবাদী সংস্কৃতি। নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তায়, মোবাইল মেসেজিংয়ে, সোস্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঝরে পড়ল তীব্র ব্যঙ্গ, ছন্দোবদ্ধ কটাক্ষ।
সাবধান সাবধান চোদ্দশো উনিশে
হা হা করে হাসলেই ধরে নেবে পুলিসে
হাসি যদি একান্ত চেপে রাখা নাই যায়
অনুমতি নিয়ে হাসো ঠিক রাত বারোটায়
হাসি বাদ, কাশি বাদ, কাজ নেই রঙ্গে
পরিবর্তন এল পশ্চিমবঙ্গে

হা হা হা হা হা...
হেসে দিনু হা হা করে বারোটার আগেই
পুলিস আসে না কেন? বসে আছি বাড়িতেই।
নব এই বত্সরে মমতার নাম ধরে
ঘরে বসে করো যদি ঠাট্টা
পুলিসের লোক এসে
ধরে দিয়ে বেঁধে কষে
মাথায় লাগাবে রাম গাঁট্টা
ছড়ার কষাঘাতের জবাব এসেছে ছড়াতেই।

নতুন বছরে শুধু গাঁট্টায়
যদি নিস্তার দাদা মিলে যায়
বুঝব সে বড় সৌভাগ্য
ভুলিনি সে বুদ্ধের জমানা
সবুজের দিকে তাকানো মানা
না মানলে হার্মাদি খাদ্য
সরকারি একুশে আইন জারি করে যে বাঙালির স্বাধীনচেতা মনকে দমানো যায় না তা প্রমাণ হচ্ছে প্রতি পদে। আর তার জেরেই বোধহয় বহুদিন পরে নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তায়, এসএসমেসে অনেকটা জায়গা দখল করে নিয়েছে হিউমার।
First Published: Sunday, April 15, 2012, 17:30