Last Updated: June 25, 2014 10:16

রাজ্যের ২০ তম জেলা হিসাবে আজ আত্মপ্রকাশ করল আলিপুরদুয়ার। আজ বেলা তিনটে নাগাদ স্থানীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ারকে সরকারি ভাবে নতুন জেলা বলে ঘোষণা করবেন৷ নতুন জেলা হওয়ার আনন্দে এখন রীতিমত উত্সব চলছে৷
রাজনৈতিক রঙ ভুলে আলিপুরদুয়ারে এখন উত্সবের রঙ। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে চলে এসেছেন জেলার নবনিযুক্ত জেলাশাসক অ্যালিস -ভাজ -আর , নতুন পুলিশ কমিশনার অনুপকুমার জয়সওয়াল৷
জলপাইগুড়ি জেলা ভেঙে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার দুটি জেলা হল। গত ২০ জুন বিধানসভায় এই ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন এরফলে প্রশাসনিক কাজের ও সাধারণ মানুষের সুবিধে হবে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল সর্বদলীয় বৈঠকেই। এবার তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে বলে ছিলেন, ``বিধানসভায় জেলার মানুষ আলাদা জেলা চাইছিলেন।.... জেলা সদর থেকে প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলির অধিক দূরত্ব সাধারণ মানুষের কাছে যথেষ্ট অসুবিধাজনক। জেলা থেকে বিভিন্নরকম পরিষেবা পাওয়ার জন্য তাদের বিস্তর সময় ও পথ অতিক্রম করতে হত।``এর ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা, কুমারগ্রাম, কালচিনি, মাদারিহাট, বীরপাড়া, জয়গাঁ, শামুকতলা ব্লক নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা।
ভক্তিনগর, রাজগ়ঞ্জ, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, বানারহাট, মাল, নাগরাকাটা, মেটেলি, কোতোয়ালি নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস। স্বাগত জানালেও নতুন জেলার পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বামেরা।
প্রায় সব রাজনৈতিক দল পৃথক আলিপুরদুয়ার জেলার দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে৷ নতুন ব্লক, পুরসভা, মহকুমার দাবিগুলি মূল দাবিটির সামনে প্রায় চাপাই পড়ে গিয়েছিল৷ তবে এখন আর সে বাধা নেই৷ খুব স্বাভাবিক ভাবেই আগামী দিনগুলিতে এলাকাভিত্তিক দাবিগুলিকে সামনে রেখে আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে বলেও নিশ্চিত বিভিন্ন মহল৷
First Published: Wednesday, June 25, 2014, 10:30