এখনও পুজো কাটেনি ডাক্তারদের

এখনও পুজো কাটেনি ডাক্তারদের

এখনও পুজো কাটেনি ডাক্তারদের পুজো শেষ হয়েছে, মিটেছে লক্ষ্মীপুজোও। কিন্তু ছুটির মেজাজ কাটেনি চিকিত্সকদের। এছবি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের। আজও অনুপস্থিত বর্হিবিভাগের একাধিক চিকিত্সক। ফলে চরম সমস্যায় রোগীরা। ক্ষোভ সামাল দিতে শেষপর্যন্ত বর্হিবিভাগে রোগী দেখতে বাধ্য হলেন হাসপাতাল সুপার।

সাধারণ সরকারি কর্মীরাও পুজোর ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু যায় আসে না বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের চিকিত্সকদের। তাঁরা এখনও পুরোদমে ছুটির মেজাজে। বর্হিবিভাগে মঙ্গলবারও অনুপস্থিত একাধিক চিকিত্সক। অথচ, বিলি হয়েছে আউটডোরের টিকিট। চিকিত্সার জন্য সকাল থেকে আউটডোরে ভিড় জমিয়েছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। তাঁদের কপালে চিকিত্সার বদলে জুটেছে চরম ভোগান্তি।
 
রোগীদের ক্ষোভ সামাল দিতে শেষপর্যন্ত আসরে নামতে হয় হাসপাতাল সুপারকে। নিজেই রোগী দেখতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছন জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকও। তবে এ বিষয়ে দায় এড়িয়েছেন তিনি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক যতই সাফাই দিন, কিছু প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। উত্তর মিলছে না, সপ্তাহখানেকের দীর্ঘ ছুটির পরও কেন গরহাজির জেলা হাসাপালের একাধিক চিকিত্সক। চিকিত্সকরা আসবেন না জেনেও কেন ওই  দুই বিভাগের আউটডোরের টিকিট বিলি করা হল। দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের চরম হয়রানির জন্য দায়ী কে।

সরকারি নিয়মে প্রতিবার অষ্টমীতে হাসপাতালে বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকে। কিন্তু, এবার অষ্টমী সোমবার পড়ে যাওয়ায় রবি ও সোম পর পর দুদিন আউটডোর বন্ধ থাকার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল। তা সামাল দিতে দশমীতে আউটডোর বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়।  





First Published: Tuesday, October 30, 2012, 19:54


comments powered by Disqus